অস্ট্রেলিয়ার সাথে ৪-১ সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৬০ রানে হরালো বাংলাদেশ। ৩৮ বল হাতে রেখেই অজিদের অল আ্য়উট করে টাইগাররা। পাঁচ ম্যাচে ৪ -১ এ জয়  টাইগারদের। মিরপুর স্জটেডিয়ামে জয়ের জন্য ১২৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে ওপেনিংয়ে মাঠে নামেন ক্রিস্টিয়ান। বেন ম্যাকডরমটের বদলে ম্যাথু ওয়েডের সঙ্গে আসেন আগের ম্যাচে সাকিবের এক ওভারে পাঁচ ছক্কায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়াক্রিস্টিয়ান।ওপেনিংয়ে এসে তেমন কিছু করতে পারলেন না ক্রিস্টিয়ান। নাসুম আহমেদের বলে বড় শটের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে বোল্ড হন ক্রিস্টিয়ান।

নিজের প্রথম বলেই বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু দেন নাসুম।সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে আশা ছিলেন মিচেল মার্শ। তবে আজ শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন তিনি। এবার নাসুমের বলে হয়ে গেলেন এলবিডবলু। ১৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।প্রথম ৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়া করে ৩১ রান। যেখানে পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশ তুলে ৪৬ রান। আটঘাট বেঁধে মাঠে নামা ম্যাথু ওয়েড ২২ বলে ২২ রান করে ফেরেন সাকিব আল হসানের বলে বোল্ড হয়ে। জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন ম্যাথু ওয়েড। সেই সাথে অন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৯৯ উইকেট তুলে নেন সাকিব।প্রথম ওভারে নাসুম, সাকিবের পর এবার উইকেট  নিলেন মাহমুদউল্লাহ। ক্রিজে থেমে যাওয়া বলে আগেভাগেই শট খেলে ফেলা বেন ম্যাকডরমট ফিরতি ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ককে।পরে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে অস্ট্রেলিয়া।

সাইফুদ্দিনের স্লোয়ারে নিজের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট পান সিরিজে প্রথমবার খেলতে নামা সাইফুদ্দিন। ১১তম ওভারে ৫৩ রানে ৫ম উইকেট হারায় অজিরা। এই ওভারেই হেনরিকসকে ফিরিয়ে দিয়ে অজিদের ব্যাটিং বিপর্যয় এনে দেন সাইফুদ্দিন। সেই সাথে দ্বিতীয় উইকেট নিয়ে ৫৪ রানে অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেট হারায়।পরের ওভারে টার্নারকে আউট করে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শতক উইকেট শিকার করেন সাকিব।পরে সাইফুদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অ্যাশটন অ্যাগার। ৫৮ রানে ৮ম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।থেমে থাকলেন না সাকিব। পরের ওভারেই দুই উইকেট নিয়ে অজিদের ৩৮ বল হাতে রেখেই ৬২ রানে থামিয়ে দেয় ইনিংস। বাংলাদেশ ৬০ রানে জয় পায়।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজ শেষ হয় ৪-১ তে।মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। এদিন  অস্ট্রেলিয়া একাদশে দুটি পরিবর্তন আনে ম্যাখু ওয়েড। দলে আসেন অ্যাডাম জাম্পা ও নাথান এলিস। বিশ্রাম দেওয়া হয় অ্যান্ড্রু টাই ও জশ হ্যাজলউডকে। তিন স্পিনার খেলানোর ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক ওয়েড। তবে অ্যাশটন টার্নারসহ আজ খেলেন চারজন স্পিনার।চার ম্যাচ অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে খেলা বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। শামীম হোসেনের জায়গায় দলে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন। শরীফুল ইসলামের পরিবর্তে খেলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।শেষ ম্যাচে ওপেন করতে মোহাম্মদ নাইমের সঙ্গে মাঠে নামেন মেহেদী হাসান। মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলে অ্যাশটন টার্নারকে সুইপ করে চার মারেন তিনি।

প্রথম ওভারে বাংলাদেশ তুলে ৮ রান। চার ওভার পর্যান্ত এই দুই ব্যাটসম্যান শাসন করতে থাকেন অজি বোলারদের। চার ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিলো কোনও উইকেট না খুইয়ে ৩৫ রান।তবে পঞ্চম ওভারে এসে মেহেদীকে হারায় বাংলাদেশ। এই ওভারে লাইন খুঁজে পাচ্ছিলেননা টার্নার। করেন তিনটি ওয়াইড। তার পরও মেহেদীকে ফিরিয়ে দেন টার্নার। ১২ বলে ১৩ রান করেন মেহেদী। এদিনও পাওয়ার প্লের সঠিক ব্যবহার করতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে’তে এক উইকেট হারিয়ে করে ৪৬ রান।এরপর ওয়ান ডাউনে নামেন সাকিব আল হাসান।

মেহেদীকে হারিয়ে রানের গতিও যেনো হারিয়ে যায়। গতি খুজতে গিয়ে ড্যান ক্রিষ্টিয়ানের পেস বোলিংয়ে খেই হারায় নাইম। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টেই তালুবন্দি হন নাইম।সাকিবের সঙ্গে জুটি করেন সৌম্য। পরের ওভারেই জাম্পার বরে এলবিডব্লুতে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব। তিনি করেন ২০ বলে ১১ রান।দলীয় স্কোর বোর্ডে তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬০ রান।এরপর মাঠে নামেন মাহমুদুল্লাহ। তার ব্যাটেই ৫১ বল পর বাউন্ডারি খুজে পায় বাংলাদেশ।জাম্পার বলে ছয় মারেন মাহমুদুল্লাহ। তবে অ্যশটন অ্যাগারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ব্যাক্তিগত ১৯ রানে ফিরেযান অধিনায়ক।স্কোর বোর্ডে ছিলো তখন ৮৪ রান।

অধিনায়ক ফিরে গেলে সিরিজের শুরুতে ধুঁকতে থাকা সৌম্য ছন্দে ফিরে পাওয়ার আভাস দিয়েছিলেন, তবে টিকে থাকতে পারলেন না বেশীক্ষণ। ড্যান ক্রিস্টিয়ানের দুই স্লোয়ারে রান বের করতে না পারার পর দারুণ এক লেট কাটে চার মারেন।তবে এরপরের বলে জায়গায় পেয়েও সুবিধা করতে পারেননি কমিয়ে আনা গতিতে। সৌম্য ক্যাচ দেন লং-অফে। এর আগে অ্যাগারের বলে স্লগ করে একটা ছয় মারেন তিনি। সৌম্য আউট হন ১৮ বলে ১৬ রান করে। সিরিজে এটিই সৌম্যর সর্বোচ্চ স্কোর, এর আগের চার ইনিংসে করেছিলেন ২, ০, ২ ও ৮ রান। ৯৬ রানে ৫ম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

নেমেই ইনসাইড-আউটে একটা ছয় মারেন ছন্দে থাকা আফিফ হোসেন। শেষ দিকে এসে খেই হারায় বাংলাদেশ। ১৭তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পা দেন মাত্র ১ রান। এরপর এলিস ১৮তম ওভারে প্রথম ৩ বলে ৪ রান দেওয়ার পর নেন নুরুলের উইকেট। পুল করতে গিয়ে আউট হন নুরুল। শেষ পর্যযন্ত বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৮ উইকেটে ১২২রানে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here