শোকজের জবাবে দিলেন মেজর অব. হাফিজ

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম দল থেকে দেয়া শোকজ নোটিশের জবাব দিয়েছেন। শনিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বনানীতে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে তিনি তার দেয়া জবাবের কপি দেন।

শোকজ নোটিশের চারপাতা জবাবে দল ও নিজের রাজনীতির বিষয়ে নানা কথা তুলে ধরেন এই মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বলেন একজন খেতাব প্রাপ্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিজয়ের মাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে অসৌজন্যমূলক ভাষায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে আমি হতবাক হয়েছি।

তিনি বলেন আমি বিগত ২৯ বছর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপিতে আমার যোগদানের তারিখ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাবার তারিখ, আমার নামের বানানসহ অনেক ভুলই রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে দৃশ্যমান। বিএনপিতে যোগদানের পূর্বেই আমি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থীরূপে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছিলাম। আমি বিগদ ২২ বছর ধরে দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি।

দলের ভাইস চেয়ারম্যানকে একজন যুগ্ম-মহাসচিব (আদিষ্ট না হয়েও) এমন কঠিন, আক্রমনাত্মক ভাষায় কৈফিয়ত তলব করায় অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি। এখানে প্রটোকল ও সৌজন্যের ব্যাত্যয় ঘটেছে। ব্যক্তি রুহুল কবির রিজভী একজন ভদ্র, নিষ্ঠাবান ও ত্যাগী নেতা, তার সাথে আমার সু-সম্পর্ক রয়েছে, তার কাছ থেকে এ ধরণের চিঠি আশা করিনি। দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে জবাবে মেজর হাফিজ বলেন আমাকে কখনও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক পদের অফার অসুস্থতার জন্য গ্রহণ করতে পারিনি। আমার বর্তমান বয়স ৭৬ বছর ২ মাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা স্থায়ী কমিটিতে আমার চাইতে বয়স্ক ব্যক্তির সংখ্যা ৪ এর অধিক হবে না বলেই আমার ধারণা।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত সভায় যোগদানের পূর্বেই পুলিশ আমাকে ঢাকা বিমান বন্দরে গ্রেফতার করে, এ কারণেই বরিশালে যেতে পারিনি। আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল বর্তমান সরকার। বিএনপির কোনও সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে এ ধরণের মারাত্মক অভিযোগ দায়ের করার কথা আমার জানা নেই। এ মামলা ছাড়াও এক ডজন মামলায় আমি গত দশ বছর ধরে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে যাচ্ছি।

জবাবে শেষ দিকে তিনি বলেন আমার বিনীত অনুরোধ আমার বক্তব্য স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করা হোক। বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমাকে যদি দোষী সাব্যস্ত করা হয়, আমি যেকোনও শাস্তি মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত আছি। আমি দলীয় নেতৃত্বের প্রতি সর্বদাই শ্রদ্ধা পোষণ করি।

গত ১৪ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশে জবাব দেয়ার জন্য ৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে। ৫দিনের মধ্যেই তিনি এর জবাব দিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here