প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ চাল কেটে বা ছেঁটে মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে বিক্রি করা অটো রাইস মিলের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চাল কাটা বা ছাঁটার কারণে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে কি না এবং খাবারের পুষ্টিমানের ক্ষতি হয় কি না, সে বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদনও দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা একটি রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন। আগামী চার মাসের মধ্যে আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।শুনানি শেষে মনজিল মোরসেদ বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, চালে ওভার পোলিশ ও ছাঁটাইয়ের কারণে জিংক, ভিটামিন, ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন খাদ্যমান কমে যায়। এ কারণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। যে কারণে রিটটি করা হলে আদালত রুলসহ ওই আদেশ দেন।
রুলে বিভিন্ন অটো রাইস মিল কর্তৃক দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন চাল কেটে বা ছেঁটে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে বাজারজাত বা বিক্রি করাতে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে, তা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তা বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চাল কেটে বা ছেঁটে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে বাজারজাত বা বিক্রি করা বন্ধে নির্দেশনা বা গাইডলাইন তৈরি করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, খাদ্যসচিব, কৃষিসচিব, বাণিজ্যসচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও অটো রাইস মিলস মালিক সমিতি সভাপতি বা সম্পাদকসহ বিবাদীদের তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।