প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষার্থী কে ধর্ষণের হুমকি দেয়া ঠিকানা পরিবহন এর ড্রাইভার মো. রুবেল এবং হেলপার মো. মেহেদী হাসানকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আটক করেছে র্যাব। রোববার (২১ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টায় ব্রিফিং এসব জানান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হিসেবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঠিকানা পরিবহনের ড্রাইভার এবং হেলপার বদরুন্নেসার দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েটির সাথে অশোভন আচরণের কলেজের অধ্যক্ষ সাদেকুন্নাহার বরাবর মেয়েটি একটি অভিযোগ করে । অভিযোগে মেয়েটি উল্লেখ করেন, শনির আখড়া থেকে আমি “ঠিকানা” বাসে উঠলে তাদের হাফ ভাড়া দিতে গেলে ২০ টাকার ভাড়ায় ১০ টাকা ফেরত চাইলে তারা অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে আমার সাথে।
আমি স্টুডেন্ট বলায় তারা আরও ক্ষেপে যান। একপর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে বলে জানায় শিক্ষার্থী। এরপর নামার সময় ৫ টাকা ফেরত দিয়ে ধর্ষণসহ শারীরিক হেনস্থার হুমকি দিয়ে ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয় এমন মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, এই প্রেক্ষিতে তার করা অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীর বাকি ৬ কলেজের (ঢাকি অধিভুক্ত) শিক্ষার্থীরা আবেগী হয়ে পড়েন এবং আন্দোলন করেন। এর জের ধরেই মূলত বকশিবাজার এলাকায় আজ শিক্ষার্থীরা সবাই রাস্তায় নেমে বাসের ড্রাইভার এবং হেলাপারকে গ্রেফতারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
এ ঘটনাকে রাষ্ট্রবিরোধীরা ভিন্ন দিকে নেয়ার চেষ্টা করছিলো উল্লেখ করে র্যাব বলেন, কোমলমতি এই শিক্ষার্থীর সাথে হওয়া ঘটনাকে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন চক্র ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করেছে। তারা এর ফুটেজ, ছবি ছড়িয়ে ভিন্নদিকে নেয়ার চেষ্টা করেছে জানান তিনি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মেয়েটির করা অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের র্যাব-১০ এর অভিযানিক দল আজ সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাসের ড্রাইভার রুবেল এবং হেলপার মেহেদীকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের চালক এবং হেলপার তাদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তারা মূলত দৈনিক ৩ হাজার টাকা রোজ জমা দেয়া হিসাবে বাস চালান। আর তার উপরে বাড়তি যে টাকা পেতেন তা ভাগ করে নেন। আর বাড়তি টাকা ইনকামের জন্যই মূলত তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিতে চাইতো না। এজন্যই তারা ওই শিক্ষার্থীর সাথে অশোভন আচরণ করেন বলে র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তারা স্বীকার করেন।
ভিকটিমের পরিবার চকবাজার থানায় মামলা করেছেন এবং কলেজ কর্তৃপক্ষও তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন বলে জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।