সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি’র বিরুদ্ধে মানববন্ধন

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমানের নির্দেশে গার্মেন্টস কর্মী আসমা বেগমের বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগি পরিবার। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে আসমা বেগম ছাড়াও তার বোন ও তার প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনের পর তারা পুলিশ সুপারকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে বলেও জানান।

তিনি আরো জানান, তিনি পেশায় একজন গার্মেন্ট কর্মী। সিনহা গার্মেন্টের একজন অপারেটর হিসেবে কর্মরত আছেন। গত ১ডিসেম্বর বিকেল ৫টার পর বাড়িতে এসে জানতে পারেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কিছু পুলিশ সদস্য তার ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে এবং ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ওইসময় ওয়্যারড্রবের তালা ভেঙ্গে সমস্ত কাপড় ফেলে দিয়ে ওয়্যারড্রবে রাখা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এছাড়াও ফ্রিজের ক্ষতি সাধন সহ ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র তছনছ করে রাখে।

তিনি আরও জানান, ওই সময় সেখানে উপস্থিত থাকা প্রতিবেশী জিজ্ঞেস করেন, তালা দেওয়া থাকা স্বত্বেও কেন আপনারা ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করেছেন?। তখন পুলিশ সদস্যগণ জানায়, আমাদের নিকট উক্ত ঘরের মালিকের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য মজুদ ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যগণ ঘর তল্লাশী করে কোন অবৈধ জিনিস উদ্ধার করতে পারেনি। কারণ আমি মাদক ব্যবসার সহিত জড়িত নই।

একটি ষরযন্ত্রকারী মহল আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ সকল মিথ্যা অভিযোগ করছে। কে বা কারা এসব কাজ করছে এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। পুলিশ সদস্যগণ চলে যাওয়ার সময় আমার প্রতিবেশীদের নিকট সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান এর একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে যায়। যাহা বাড়ীতে আসার পর আমি আমার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি।

প্রতিবেশী আয়শা বলেন, আমি আসমা আক্তারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। আমি রান্না করার জন্য ঘর থেকে বের হলে দেখি পুলিশ আপার ঘরের তালা ভাঙ্গছে। আমি কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, আপা মাদক ব্যবসা করে। আমাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে। তারা যাওয়ার সময় আমাদের একটা কার্ড দিয়ে যায়। তাই আমি জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট উক্ত বিষয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাই।

তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, আসমাসহ তার পুরো পরিবার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে আসমা পালিয়ে যায়। তার ঘরের মধ্যে মাদক আছে মর্মে গোপন সংবাদে জানতে পারি। তাকে না পেয়ে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে ঘরে তল্লাশী চালিয়ে মাদক না পেয়ে আমরা ফিরে আসি। অভিযানে আমি নিজেই উপস্থিত ছিলাম।

প্রসঙ্গত : গত ২০ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে মশিউর রহমান যোগদান করেন। রাজধানীর রমনা ও খিলগাঁও থানায় দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে নিরীহ ও ব্যবসায়িদের মাদক মামলার আসামী করে হয়রানীসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে তার বিরুদ্ধে জাতীয় গণমাধ্যমে বহু সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here