খাদ্য সহয়তার আহবান,,আজ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান পৌছাবে ঘরে ঘরে : খোরশেদ

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পৌঁছে দিচ্ছেন। তবে বিত্তবান ও ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের ঘরে তিনি তাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই পাঠাচ্ছেন না, তবে যে কেউ প্রয়োজনে তার কার্যালয় থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংগ্রহ করতে পারবেন।

২৫ মার্চ বুধবার সকাল থেকে শহরের কুমুদিনী বাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপম্যান্ট (পিপিই) পরিধান করে তিনি ও তার স্বেচ্ছাসেবকরা এ স্যানিটাইজার নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেন। এসময় তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে আহবান করেন যেন খাদ্য সামগ্রী সহায়তার মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ান সকলেই। তিনি নিজেও এ কাজ করবেন এবং এতে শরীক হতে সামর্থ্যবানদের আহবান জানান, তবে এ ক্ষেত্রে খাদ্য সামগ্রী গ্রহণযোগ্য নগদ অর্থ তিনি গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছে। খোরশেদ জানান, ৭ম দিনের মত আজও আমার কার্যালয় থেকে এ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

আজ থেকে আমি ও আমার ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী পিপিই পরিধান করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে নিম্নবিত্ত মানুষের ঘরে ঘরে এ সামগ্রী পৌছে দিচ্ছি। তারা যতক্ষন বাইরে থাকবেন ততক্ষন যেন এ হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করেন এবং ঘরে সাবান পানি ব্যবহার করেন সেটিও বলে দিচ্ছি। তিনি জানান, আমি এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করেছি এবং আমার কার্যালয় থেকে ১৫ হাজার বোতল বিতরণ করা হয়েছে। আজ থেকে বাড়ি বাড়ি ও আমার কার্যালয় থেকেও বিতরণ করা হবে। মানুষের সেবার মধ্যেই আমি আমার জনগনের সেবকের দায়িত্ব পালন করতে চাই।  জানা যায়,খোরশেদ প্রতিদিন নিজ উদ্যোগে সপ্তাহ ধরে ২ থেকে ৩ হাজার ৫০ মিলি.বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ্যের দেয়া ফর্মূলায়। তিনি এসব তৈরী করে বিনামূল্যে বিতরণ করছেন মানুষের মধ্যে। তার ওয়ার্ডবাসী বিভিন্ন ফার্মেসীতে ঘুরেও গত ১ সপ্তাহ ধরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাচ্ছেন না। এসব অবস্থায় যেখানে হাত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটা প্রয়োজন সেখানে তিনি নিজেই উৎপাদন করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করছেন। শুধু ওয়ার্ডবাসী নয় যেকেউ তার কার্যালয় থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারছেন।

করোনা প্রতিরোধে এর আগে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ দু সপ্তাহ ধরেই লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ এবং বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার বেসিন বসিয়ে তাতে ক্ষারযুক্ত সাবানের ব্যবস্থা করেন। এ ছাড়াও প্রতিটি মসজিদে স্যাভলনের স্প্রের ব্যবস্থা করেন তিনি, যেটি মসজিদে প্রবেশ ও মসজিদ থেকে বের হবার সময় মুসুল্লিদের হাতে স্প্রে করা হয়। এছাড়াও তিনি তার ওয়ার্ডের বিভিন্ন যানবাহন জীবাণুমুক্ত করতে তাতে স্প্রে করিয়েছেন। জীবাণুনাশক স্প্রে তে ব্যবহার করা হয়েছে ২০ লিটার পানির সাথে এক চামচ ব্লিচিং পাউডার। এটি জীবাণুনাশ করতে খুবই উপকারি বলে কাউন্সিলর জানান।

তিনি ১০ মার্চ থেকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে লিফলেট বিতরন শুরু করেছিলেন।বাংলাদেশে ব্যাক্তি পার্যায়ে কাউন্সিলর খোরশেদই প্রথম স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য পিপিপি সুট ব্যাবস্থা করলেন।এ প্রসংগে তিনি বলেন,আল্লাহ আমাকে হেফাজত করলে আমি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে চাই।এজন্য আগে থেকেই আমি প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here