প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ২৮ই জুন শুক্রবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সাহিত্যঘর’আয়োজিত স্বরচিত লেখা পাঠ ও সাহিত্য আড্ডা। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ছড়াকার মানসুর মুজাম্মিল।প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও প্রকাশক আমিনুল ইসলাম মামুন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও ইতিহাস গবেষক এস এম শাহাব উদ্দিন, বিশিষ্ট লেখক মাহবুবুল আলম সেলিম।পঠিত লেখার উপর নিপূন ভাবে প্রাণবন্ত ও গঠনমূলক আলোচনা করেন বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট কামাল সিদ্দিকী।
সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ছড়াকার মতিউর রহমান মনির।লেখা পাঠ করেন বিশিষ্ট কবি ওছড়াকার চান মিয়া চান্দু,ফরিদ আহমেদ হৃদয়, মোস্তফা কামাল সোহাগ,গিয়াস উদ্দিন খন্দকার, অশোক কুমার,এম এ মামুন বাবুল,রুবাইয়া ইসরাত,হোসেন ফরহাদ,সুমন সরকার ও লেখক ও কলামিস্ট ডাঃ নূরজাহান নীরা।আরো উপস্থিত ছিলেন মিশরাত জাহান পাথার,নুর কুতুব আল নাহিদ,রহিমা আফরোজ। অনুষ্ঠানটি সাবলীল ভাবে উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট কবি মনির জামান।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম মামুন বলেন, আমরা যারা বই প্রকাশ করি বা করতে চাই বিশেষ করে তরুণ লেখকের জন্য প্রকাশক এবং লেখকের মধ্যে একটা চুক্তিপত্র হওয়া উচিত। এতে লেখক এবং প্রকাশক দুজনেই উপকৃত হবেন।অনেক সময় দেখা যায় বই প্রকাশ হওয়ার পর লেখক এবং প্রকাশকের মধ্যে নানান সমস্যা তৈরী হয় ও মনোমালিন্য দেখা যায়, তাই আমাদের সম্পর্ক অটুট রাখতে এবং কোন ধরনের জটিলতা যেন কোন ক্ষতির কারণ না হতে পারে সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং চুক্তিপত্র করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানসুর মুজাম্মিল বলেন,যে সকল লেখকদের মধ্যে গোড়ামি এবং আমিত্ব ভাব বেশি থাকে তাদের পিছু না ছুটে নিজের মত এগিয়ে যাওয়া উত্তম। প্রকৃত সৃজনশীল ও সৃষ্টিশীল মানুষ কখনও অহংকারী হয়ে ওঠে না। আর এটা থেকেই প্রকৃত লেখক চেনা যায়।এবং অবশ্যই আমাদের উচিত সময়ের মূল্য দেওয়া।তাতে জীবনের সফলতা আশা করা যায়। উপস্থিত অতিথিদের সাবলীল বক্তব্য ও সভাপতির লেখা নিয়ে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।