মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের এ কেমন আচরণ ?

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ সদর থানা এখন সাধারণ মানুষের হয়রানি আর অবহেলার আখরা সারাদেশে যখন ব্যানার আর শ্লোগানে মুখরিত মানুষের সেবাই পুলিশের ধর্ম। ঠিক অপর দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ সদস্যরা সেবার নামে সাধারণ মানুষে হয়রানি আর খারাপ আচরণ করেন।মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় পৌনে আটটার সময় এস.আই সজিবের সন্তানের বিরুদ্ধে মায়ের সিআর মামলার বাদী ও সাক্ষীদের আসতে বলে। সেই মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের নিয়ে থানায় যান মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যকরি সদস্য আব্দুস সালাম।

সাংবাদিক আব্দুস সালাম, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ও ফটোসাংবাদিক শাহরিয়ার মুন্সীর রুমের সামনে দাঁড়িয়ে এসআই সজিবের অপেক্ষায় ছিলেন। অপরদিকে কিশোর গ্যাং লিডার আটক করেছে পুলিশ সেখানে অনেক কিশোর গ্যাং এসে জড়ো হচ্ছে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে কথাও বলছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছিল না। সাংবাদিকদের দেখেই এখানে দাঁড়ানো নিষেধ বাহিরে গিয়ে দাঁড়াতে হবে যা মন চায় পুলিশের রাজত্ব কায়েম করেছে সদর থানা। টাকার বিনিময়ে গারোদে লোকজন যাচ্ছে আসামীদের সাথে দেখা করছে কথা বলছে সমস্যা হচ্ছে না। আমরা তিনজন সাংবাদিক মুন্সীর রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছি কেন? এটা হলো পুলিশের সমস্যা।সাংবাদিক বলার পরেও কনস্টোবল খলিল বললেন আপনারা এখান থেকে চলে যান, ওদিকে যান। এখানে দাঁড়ানো নিষেধ।

সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও ওখান থেকে বার বার খলিল সাহেব জানালেন ওখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য। এমন সময় প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুস সালাম খলিলকে বলেন, কিশোর গ্যাং দেখতে আরো অনেক কিশোর গ্যাং আসলো তাদের কিছু বললেন না সাংবাদিকদের সরে যেতে বলছেন কেন? বিষয়টা বুঝলাম না। এমন প্রশ্ন করায় খলিল এসআই মহিউদ্দিনের কাছে গিয়ে বিচার দেয় যে সাংবাদিকদের সরতে বলি সরে না। তখন থানার কয়েকজন এসআই বলেন, খলিল পুলিশের পোশাক পরা ওকে ধমক দিলেন কেন? এমন সময় গারদ থেকে কান্নার আওয়াজ ও পুলিশের সাথে ধাক্কা ধাক্কি লেগে যায় দৌড়ে ডিউটি অফিসারের রুমের সামনে থেকে ছবি তোলেন অপর একজন সাংবাদিক। আর অমনি আছমা এবং অন্যান্য এসআইগণ তেড়ে আসেন মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এবং ল্যাপটপও কেড়ে নেন।

পরবর্তীতে মোবাইল থেকে ছবি ডিলিট করে মোবাইল ফেরত দেন কতক্ষণ পরে ল্যাপটপও ফেরত দেন। এর কিছুক্ষন পরই দেখা যায় মুন্সীর দরজার সামনে ৭-৮জন সাধারণ জনগণ দাঁড়িয়ে আছে তাদেরকে সরে যেতে কেউ বলছে না তবে কি সাংবাদিকদের জন্যই এই আইন যে সাংবাদিকগণ ওসির রূমে গিয়ে বসে থাকবে বাহিরে দাড়াতে পারবে না!ভূক্তভোগী সাংবাদিক হুমায়ুন বলেন, ১লা এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭;টা৪৫ মিনিটে দুজন সংবাদ কর্মী এক ভুক্তভোগী অসহায় ব্যক্তিকে নিয়ে থানায় গিয়ে এসআই সজিবের সাথে সরাসরি কথা বলে ঝামেলা মিমাংসার জন্য গেলে পুলিশের কনস্টেবল খলিল মিডিয়া কর্মীদের অনত্র সড়ে দাঁড়াতে বলেন।

তখন মিডিয়া কর্মী পরিচয় দেয়ার পরেও আবার কিছুক্ষন পরে এসে থানার গেইট এ গিয়ে দাঁড়াতে বলেন। মিডিয়া কর্মীরা তখন এর প্রতিবাদ করাতে এসআই মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের ওপরে চড়াও হলেন। সাংবাদিকদের জন্য থানার ভিতরে ছবি নেয়া যাবে না, দাঁড়ানো যাবে না আসলে কি মগের মুল্লুক হয়ে গেছে।থানার ভিতরে ওসির রুমে গিয়ে বসে থাকতে হবে সাংবাদিকদের। বাহিরে গারদে, বিভিন্ন রুমে যে তদবির টাকার বানিজ্য হয় সেগুলো দেখাও যাবে না, ছবিও তোলা যাবে না। সাংবাদিকের যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু ওসি সাহেবকে বলবেন অনুমতি নিবেন তার পরে আপনি পাবেন এটা হলো বর্তমানে সদর থানার হাল হকিকত। এমন আচরণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কেনো করেন পুলিশ জানতে চায় মুন্সীগঞ্জবাসী?

এ বিষয়ে সদর সার্কেল মিনহাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here