পায়রা নদীর উপর “লেবুখালী সেতুর” নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মু আবদুল মোতালিব বরগুনা প্রতিনিধি: বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পায়রা নদীর উপর লেবুখালী সেতুর নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। চারলেন বিশিষ্ট ১,৪৭০ মিটার (৪,৮২০ ফুট) দৈর্ঘ্যের ১৯.৭৬ মিটার (৬৪.৮ ফুট) এক্সট্রা বক্স গার্ডার সেতুটির উভয়দিকে ৭ কিলোমিটারজুড়ে নির্মাণ করা হবে অ্যাপ্রোচ সড়ক।

ব্রিজটির প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১,৪৪৬ কোটি টাকা।এছাড়াও সেতুটি নদীর জলতল থেকে ১৮.৩০ মিটার উঁচু। ফলে নদীতে নৌযান চলাচলে কোনো অসুবিধা হবে না। সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে আলোকিত হবে সেতুটি। সেতুটি নির্মিত হলে খুলে যাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সম্ভাবনার দ্বার।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। বাণিজ্যিক সুবিধা পাবে ব্যবসায়ীরা। গড়ে উঠবে কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান।

এই সেতুকে ঘিরে পরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছেন ছোট-বড় নানান ধরনের ব্যবসায়ীরা। হোটেল, তেল পাম্প, এমনকি জমির মালিকরাও।কুয়েত সরকারের অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে চায়নার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান চাইনিজ কোম্পানি সেতুটি নির্মাণ করছে। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে সেতুটির নির্মাণকাজ। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

রেসিডেন্স ইঞ্জিনিয়ার আহমদ শরীফ সজিব বলেন, উভয় তীরের গার্ডার নির্মাণ কাজ শেষে এখন নদীর মাঝের গার্ডার নির্মাণ কাজেরও শেষ করে ব্রীজটি এখন শুধু উন্মুক্ত করার অপেক্ষা । একই সঙ্গে স্প্যান বসানো শেষের দিকে। লংজিয়ান চায়নার নির্মাণ শ্রমিকরা খাবার বিরতি ছাড়া দিন-রাত সমান তালে দ্রুততার সঙ্গে নির্মাণকাজ করছেন। এখন গড় হিসেবে ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটি নির্মিত হলে পটুয়াখালী-বরগুনা জেলাসহ উপকূলীয় ১০ উপজেলার অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন।

২০১২ সালের ৮ মে একনেক সভায় প্রকল্পটি সরকারের অনুমোদন পায় এবং ২০১৩ সালের ১৯শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী সফরে এসে লেবুখালীতে পায়রা নদীর দক্ষিণ পারে ফেরিঘাটে চার সড়ক বিশিষ্ট পায়রা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here