ফতুল্লায় আজাদ-রিয়াদ প্রভাব বিস্তার করতে ও আমাকে চাপে রাখতেই বিদ্রোহী কমিটি: রনি

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী আমাকে চাপে রাখতে সাগর সিদ্দিকিকে ব্যবহার করে বিদ্রোহী কমিটি ঘোষণা করেছে। সাগর সিদ্দিকির বাবা তুষার আহমেদ মিঠুও শ্রমিক দলের বিদ্রোহী কমিটি গঠন করেছিল।

সে ছিল ডাকাত, নদীপথে ডাকাতি করতো। যাকে এ কমিটির আহবায়ক দেয়া হয়েছে সে বিবাহিত এবং সে ২০০৩ সালের ব্যাচ। এমনিতেই টিকেনা সে। আর যাকে সদস্য সচিব দেয়া হয়েছে তার বাড়িঘরের ঠিক ঠিকানা নেই। কয়দিন আগে তার বাবা মারা গেছে সে নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিল। তাকে আমি যুগ্ম আহবায়ক করেছিলাম সে আমার পায়ে ধরে বলেছিল আমি আপনার সাথে রাজনীতি করবো আর বেয়াদবি করবোনা এবং উল্টা পাল্টা চলবোনা। তারপর বাবুর অনুরোধে তাকে আমি কমিটিতে রাখি।

কমিটি হবার দুদিন পর তাকে পুলিশ ভয়ভীতি দেখিয়ে ডেকে নিয়ে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলে যদি রনির সাথে থাকিস তাহলে তোকে পুলিশে দেব। তাকে যে বিদ্রোহী কমিটিতে রাখা হয়েছে এটা সে নিজেও জানেনা। সে নাকি পরে শুনেছে তাকে কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে।  বিদ্রোহী কমিটি গঠনের বিষয়ে নিজের অবস্থান ও এর প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, মূলত সামনে থানা কমিটি হবে তো তাই আড়াইহাজারের কমিটি কব্জায় নিতে আজাদের নির্দেশে এ ধরনের বিদ্রোহী কমিটি দিয়ে আমাকে চাপে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী আমার ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান দোলনের বাসায় পুলিশ পাঠিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। পুলিশ পাঠিয়ে তাকে বলা হয়, তাকে ওসির সাথে দেখা করতে না হলে তার হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হবে। আমি ফতুল্লা থানার পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্চয়কেও বলেছিলাম রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর কথা। সে বলেছে তার সাথে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর সম্পর্ক ভালো। তবে রিয়াদের কথা নাকি সে শুনবেনা।

রনি বলেন, যারা বিদ্রোহী কমিটি দিয়েছে এবং যারা কমিটিতে আছে এদের বেশিরভাগই আওয়ামীলীগ। ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাথেই এদের চলাফেরা। ফতুল্লা প্ল্যাটফর্মের ওখানে তো প্রথম যুগ্ম আহবায়কের বাবা মা মাদকের ব্যবহা করে। সে নিজেও মাদকের ব্যবসা করে। সে চিহ্নিত এবং থানায়ও তার বাবা মায়ের নাম আছে। কাশীপুরের আরো কিছু ছেলে আছে তাদের অস্তিত্বই নেই, চিনিও না, নামও শুনিনি কখনো। মূলত এরা ফতুল্লা প্ল্যাটফর্মে বসে চুরি ছিনতাই করে, এদেরকে দিয়েই কমিটি করা হয়েছে। এ ধরনের কাজ করাচ্ছেন নজরুল ইসলাম আজাদ কমিটিতে তার প্রভাব বিস্তার করানোর জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here