প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরের তারাব নোয়াপাড়া এলাকায় মার্কেটসহ পাকা ভবনসহ দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সীমানা পিলার স্থাপনে স্থানীয়রা বাধা প্রদান করায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়।
টানা ৪ দিনব্যাপী অভিযানের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার ২ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুব জামিলের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ পরিচালক মোবারক হোসেন, সহকারী পরিচালক নূর হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। অভিযানকালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, নৌ-পুলিশ, আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ১ ফেব্রুয়ারী থেকে ৪দিন ব্যপী অভিযান শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে রূপগঞ্জের তারাবো নোয়াপাড়া এলাকায় অভিযানে একটি এক্সাভেটর (ভেকু) দিয়ে পাকা দোতলা ভবন, মার্কেটসহ দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
যার মধ্যে ১তলা বিল্ডিং ১৭টি, আধাপাকা বিল্ডিং ২১টি, সেমিপাকা ঘর ১২টি, টিনের ঘর ১২০টি সহ মোট ১৭০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে কেউ বাধা প্রদান করেনি বরং দখলদাররা নিজেরাই তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। এছাড়া সোনালীঘাট এলাকায় সীমানা পিলার স্থাপনে কিছু লোক বাধা দিচ্ছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে বাধা প্রদানকারীরা পালিয়ে যায়। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়।
তিনি আরো জানান, সুলতানা কামাল ব্রিজ সংলগ্ন তারাব এলাকা থেকে কাঞ্চন ব্রীজ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে ৪ দিনব্যাপী অভিযান চলবে। উচ্ছেদ অভিযান শেষে ওয়াকওয়ে ও বনায়ন করা হবে। শীতলক্ষ্যা দখলমুক্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষও খুশি।