প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ভাসছে শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ ও শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৫০টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভা। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে কমপক্ষে লক্ষাধিক পরিবার । খুব কষ্টে জীবন যাপন করছে তারা পদ্মানদীর পানি সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেঃ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন নুতন নুতন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ৪দিন যাবত শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়ক তলিয়ে হাটু পানিতে ডুবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে কাঠালবাড়ি ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকা ও শরীয়তপরু গামী যাত্রিরা যাতায়তে চরম বিপাকে পড়েছে । তাদের খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বন্যা দূর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানীয় জল ,শুকনো খাবার ,শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য ও পয়ঃনিস্কাশনের সংকট রয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে হাজার হাজার একর মাছের পুকুর ও ঘের।মারাত্ন ক্ষতির মুখে পড়েছে মাছ চাষীরা। হাজার হাজার একর ফসলী জমির ফসল রোপা আমন বোনা আন পাট মেসতা শাক-সবজি তলিয়ে গেছে।কলার ভেলা ও নোৗকা বিহীন চলাচলের কোন উপায় নেই। বন্যা দূর্গতদের আশ্রয় নেয়ার জন্য ২৯৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে। বন্যা দূর্গতদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রী পৌছে দেয়া জরুরী ।
নড়িয়া পৌরসভার ঢালি পাড়া এলাকার পানিবন্ধী চানমিয়া বলেন, বন্যার পানি আমাদের ঘরে ঢুকে হাটু পানিতে ডুবে গেছে। আমরা খুবই কষ্টে আছি। আমাদের খাবর সংকট। কোজ কাজ কর্ম নেই। আর ২/১দিন পানি বাড়লে ঘরে থাকতে পারবোনা। জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর এলাকার সোনামদ্নি বলেন, বন্যার পানিতে আমরা ভেসে যাচ্ছি। ঘরের টুয়া পর্যন্ত পানি গবাদিপশু নিয়ে বিপদে আছি। আমাদের এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানীয় জলের অভাব ,শুকনো খাবার ও পয়নিস্কাশনের খুবই কষ্ট হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান হাবিবুর রহমান বলেন, পদ্মানদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। নুতন নুতন এলাকা তলিয়ে গেছে। সুরেশ্বর পয়েন্টে বন্যার পানি বিপদ সীমার ৪০ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাতি হচ্ছে।