নিউজিল্যান্ডকে তুলোধূনো করে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ চতুর্থ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৩-১ এ সিরিজ নিশ্চিত করলো টাইগাররা। টাইগারদের ইতিহাস সৃষ্টি করা জয় এটি। তৃতীয় ম্যাচে হারলেও চতুর্থ ম্যাচে জয় নিয়ে প্রথম বারের মত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ।এরআগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে, দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ রানে জয় পায় টাইগাররা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে বল হাতে সফরকারীদে শতকের নিচে, ৯৩ রানেই বেঁধে ফেলে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী।

জবাবে ব্যাট হাতে ৪ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।আগের ম্যাচে কোল ম্যাকনচিকে পরপর দুইটা সুইপের পর আবার স্লগ সুইপের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এলবিডব্লু হয়েছিলেন লিটন দাস। ম্যাকনচিকে আজও প্রথমে একটা স্লগ করে কাউ কর্নার দিয়ে চার মারলেন। পরের বলে আবারও সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন লিটন। এরপর এজাজ প্যাটেলের স্পিন ঘূর্ণিতে জোড়া উইকেট হারায় টাইগাররা।তার ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে এসে লম্বা শট খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাটেন সাকিব। সমানসংখ্যক বলে ৮ রান করেন তিনি।

পরে শূণ্য হাতেই মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে ফিরিয়েদেন প্যাটেল।পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের খাতায় জমা পরে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান। কিছুটা টি-টোয়েন্টি মেজাজ থেকে বেড়িয়ে খেলতে থাকেন নাঈম-মাহমুদুল্লাহ। অপর প্রান্ত থেকে জমাট ভাঙ্গার চেস্টায় থাকে সফরকারীরা। তবে সিঙ্গেল-ডাবলসেই সঙ্গি ছিলো মাহমুদউল্লাহ-নাঈম জুটিতে। দশম ওভারে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে এসেছে ৫ রান, সবই দৌড়ে, ১১তম ওভারে রবীন্দ্রর বলে ৪টি সিঙ্গেল। ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৪৮। বল হাতে এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরাতে না পারলেও রান আউটের নাঈমকে হারায় বাংলাদেশ।

৩৫ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ২৯ রান করেছেন নাঈম, চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটিটা ছিল ৩৫ রানের।এরপর আফিফের সঙ্গে জুটি বেঁধে দেখে শুনে খেলতে থাকেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। তার দূরদর্শীতায় ৫ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটে ৯৪ রান করে বাংলাদেশ। এরআগে, মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে নিউজিল্যান্ড। আজকেও একই একাদশ নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড একাদশে পরিবর্তন দুটি। সিরিজে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে মাহমুদউল্লাহর দল। শেষ ম্যাচটা জিতেছে নিউজিল্যান্ড।

জ্যাকব ডাফি এবং স্কট কুগেলিনের জায়গায় নিউজিল্যান্ড দলে ফিরেছেন হামিশ বেনেট ও ব্লেয়ার টিকনার।বল হাতে শুরুতেই উইকেট তুলে নেয় স্পিনার নাসুম আহমেদ। চতুর্থ বলেই রচিন রবীন্দ্রকে শূণ্য হাতে ফেরান তিনি। আগের ওভারে সাকিবের বলে রিভার্স সুইপে ছক্কা পেয়েছিলেন ফিন অ্যালেন। পরের ওভারে নাসুমকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আউট হন অ্যালেন। ৩ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৬ রান তুলে নিউজিল্যান্ড।

২টি উইকেটই নাসুমের।পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভার শেষে ২ উইকেটে ২২ রান নেয় নিউজিল্যান্ড। দ্রুত দুই উইকেট হারালে শক্ত ভিত গড়তে অধিনায়ক লাথাম ও ইয়াং জুটি বাঁধেন। তবে বেশিদুর এগিয়ে যেতে পারেনি এই জুটি। কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম ধৈর্য হারিয়ে ১১তম ওভারে মেহেদীকে এগিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন।১২তম ওভারে নাসুমের জোড়া আঘাতে লন্ডভন্ড ব্ল্যাক ক্যাপসদের ব্যাটিং লাইনআপ। দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিক আশা জাগিয়েছিলেন এই স্পিনার। হ্যাট্রিক না পেলেও মেডেন পান নাসুম ঠিকই।

৪ ওভারে ২ মেডেন নিয়ে ১০ রানে ৪ উইকেট নিলেন তিনি। আগেরদিন হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল ৬ষ্ঠ উইকেটে গড়েছিলেন বড় একটা জুটি। এদিন অবশ্য পারেননি ব্লান্ডেল।মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে নড়বড়ে হয়ে ওঠে কিউই ব্যাটিং ভিত। মোস্তাফিজের কাটারে সোজা ব্যাটে তুলে মেরেছিলেন টম ব্লান্ডেল। তবে মিড-অনে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে নাঈম ক্যাচ নিয়ে গত ম্যাচের হিরো ব্লান্ডেলকে ফেরান। এরপর নিজের বলে নিজেই বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ম্যাকনচির অসাধারণ এক ক্যাচ।

৭৪ রানে ৭ম উইকেট হারালেও, থিতু হতে থাকেন ইয়াং।চোট পেয়ে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। ১৯ তম ওভারে মাঠে ফিরেই ইয়র্কারে ফেরান এজাজ প্যাটেলকে। স্কোর লাইনে ৮ উইকেটে ৯১ রান ছিলো।ইনিংসের শেষ ওভারে এসে আবারো মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত। ক্রিজে এসেছিলেন ইয়াং তৃতীয় ওভারে। আরেকটা বড় বিপর্যয়ের হাত থেকে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস আগলে রেখেছিলেন তিনিই। শেষ ওভারে এসে ফিফটির আগেই ফিরতে হয় উইল ইয়াংকে।

মোস্তাফিজুর রহমানের বলে কাভারে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েন তিনি ৪৮ বলে ৪৬ রান করে। ঠিক পরের বলে ব্লেয়ার টিকনারকে ক্যাচ বানিয়ে কিউইদের ইনিংস শেষ করেন মোস্তাফিজ। নিউজিল্যান্ড থামে ৯৩ রানে। হাতে তখোনো ছিলো ৩ বল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here