প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা। চালিয়ে যাচ্ছেন এলাকার সমাজপতি, বয়স্ক ও মুরব্বিদের সঙ্গে ঘন ঘন যোগাযোগ। বাড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ।
কৌশলে আলোচনায় আনছেন নিজেদের কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারটি। নানাভাবে চালাচ্ছেন প্রচারণা। তবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী এবং এলাকাবাসীর প্রত্যাশা— ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায় শেল্টার দানকারী, ব্যবসার নামে আদমজী ইপিজেডে একক প্রভাব বিস্তারের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো সন্ত্রাসীরা যেন কাউন্সিলর প্রার্থী হতে না পারে, দলীয় মনোনয়ন এবং সমর্থন না পায়।
এলাকাবাসী চাচ্ছেন— যার অপরাধ করে না, অপরাধীদের শেল্টার দেবে না, তারাই যেন আগামীতে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়, দলীয় সমর্থন পায়। যারা সমাজের জন্য, এলাকার জন্য কাজ করে তারাই যেন নির্বাচিত হয়। ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার গত ২৩ আগস্ট ঘোষণা দেন— আগামী ডিসেম্বরে নাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কবে হবে তা সেপ্টেম্বরে কমিশনসভায় আলোচনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ঘোষণার পর থেকেই নাসিকের সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ডে বর্তমান, সাবেক ও সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা নড়াচড়া শুরু করেছেন। শুরু করেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার কাজও। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মজিবুর রহমান বলেন, শুনেছি মেয়র নমিনেশন দেওয়ার পাশাপাশি এবার কাউন্সিলর প্রার্থীদেরও নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী) মনোনয়ন দেবেন।
যদি তিনি কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন না দেন, তা হলে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ডে আমরা দলীয়ভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ী, চোর-বাটপার, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের মনোনয়ন দেব না। এ ক্ষেত্রে তিনি মিডিয়াকর্মীদেরও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী মো. মোহসীন প্রত্যাশা করেন, সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে সমন্বয় করে জোটের শরিক আওয়ামী লীগ থেকে যেন ৬-৭টি ওয়ার্ডে এবং জাতীয় পার্টি থেকে ৩-৪টি ওয়ার্ডে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
সেই সঙ্গে তিনি স্বচ্ছ, নম্র-ভদ্র ও নির্লোভ প্রার্থী প্রত্যাশা করেন সিদ্ধিরগঞ্জের এ ওয়ার্ডগুলোতে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি, নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম মণ্ডল জানান, আমরা প্রত্যাশা করব— ভূমিদুস্য, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টারদাতা যেন মনোনয়ন না পান।
দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কোনো কমিটি নেই। তা ছাড়া হেফাজতে ইসলামের মামলাগুলোতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অধিকাংশ নেতা আসামি হওয়ায় তারা অনেকে আটক, কেউবা পলাতক রয়েছেন। তবে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানিয়েছেন, তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন চান এবং কোনো অপরাধীকে নাসিক নির্বাচনে দেখতে চান না।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর নাসিকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে ওয়ার্ড রয়েছে ২৭টি, যার মধ্যে ১০টি সিদ্ধিরগঞ্জে।