কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে “গ্রুপিং”বন্ধ না হলে আন্দোলনে সফলতা আসবে না: গয়েশ্বর

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ দলের মধ্যে ‘গ্রুপিং’ বন্ধ  না হলে আন্দোলনে সফলতা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন এই সরকারকে হটাতে হবে-ওয়াদা করি প্রতিদিন। ডেইলি প্রতিশ্রুতি নেই- দলের ভেতরে বিভেদ চলবে না, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু এখান থেকে বাইর হয়ে গিয়ে ৩/৪ জন নিয়ে দোকানে বসে কারে সাইজ করতে হবে- তা নিয়ে আলাপ করি আমরা।

এরকম হলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না। ফাস্ট অব অল- স্ট্রাগল ফর ইউনিটি। অর্থাৎ দলের মধ্যে আমাদের শক্তি যতটুকুই আছে ওইটুকুকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সংগ্রাম করি। তারপরেই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুভমেন্টটা করব। এটা আমার কথা নয়, মাও সেতুংয়ের কথা,” যোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

গয়েশ্বর বলেন জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, দেশ থাকবে, দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে। জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ হয় গণতন্ত্র অবশ্যই ফিরে আসবে। গণতন্ত্র যদি নিশ্চিত করতে পারি শুধু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কেনো দেশের ১৮ কোটি মানুষই মুক্তি পাবে, দেশেই থাকবে, দেশেই আসবে, স্বাধীনভাবে চলবে,জনগনের  পাশে থাকবে। এখন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান করছেন যতটুকু এখন বাকি দায়িত্বটা আমরা অকৃত্রিমভাবে আন্তরিকভাবে সমাধান করি এবং আন্দোলনের মাধমে দেশটাকে মুক্তি করি।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘ সত্যকে স্বীকার করার সত্য সাহসের প্র্রয়োজন সেটা আওয়ামী লীগের নাই। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ডাক দিয়েছেন তখন আওয়ামী লীগের নেতারা সবাই অবলোক মস্তকে বিনা প্রতিবাদে, বিনা প্রশ্নে তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন। কেনো তাকে প্রশ্ন করেনি আপনি কে? কারণ জনগনের মনের কথা জিয়াউর রহমান বলেছেন। সেজন্য জিয়া এদেশের কোটি জনতার নিকট আত্মার আত্বীয়।

তিনি বলেন জিয়াকে মুছে ফেলার চেষ্টা চলে কিন্তু মুছা যায় না। এই ঐতিহাসিক সত্য কখনো মুছা যায় না। কাউকে নায়ক মহানায়ক বানানো যায় এবং ভালো চলচিত্রকার হইলে সেটাকে একটা ছবি আকারে পর্দায় ঠেকানো যায়, সেই নায়কের কর্মকান্ড দেখে মানুষ আবেগ আপ্লুত হয়, চোখে জলও ফেলে কিন্তু সেটা গল্প, সেটা তো নাটক, সেটা সিনেমা। সেটা তো ইতিহাস না। হিস্টি অলওয়েজ ফ্যাক্ট। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা, তার আর্ভিাব, তার কর্মকান্ড প্রতিটি ফ্যাক্ট, গল্প না। সেই কারণে তিনি একটি ইতিহাস।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এবং কৃষকদলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এসকে সাদীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, অ্যাডভোকেট নাসির হায়দার, মাইনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলিম হোসেন, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, মীর মমিনুর রহমান সুজন, খলিলুর রহমান ইব্রাহিম, শফিকুল ইসলাম, এম জাহাঙ্গীর  আলম, আব্দুর রাজি, হারুন সিকদার, আসাদুল আরিশ ডল, কৃষকদল নেতা গোলাম সরোয়ার সরকার, ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়, আব্দুল্লাহ আল নাইম প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here