রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে সামাজিক সমস্যা তৈরি করছে : প্রধানমন্ত্রী

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দেশ বাংলাদেশ। সেই রোহিঙ্গারাই বাংলাদেশে সামাজিক সমস্যা তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের অনেকেই মাদক ও নারী পাচারে জড়িত বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘ সময়ের সমস্যার সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশ কতদিন এত বড় বোঝা বহন করবে সে প্রশ্নও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার (১৯ জুন) নবনিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলস সংসদ ভবনস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ভাষানচরে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়েছে, যেখানে তারা আশ্রয়ের উন্নত সব সুযোগ-সুবিধাই পাচ্ছে।

এ সময় কানাডার হাইকমিশনার বলেন, কানাডা সবসময় বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদান করবে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, তার দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য দাতব্যের মাধ্যমে একটি অতিরিক্ত তহবিলও তৈরি করছে।রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনে আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপনেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন।এসময় উভয়েই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেন এবং একমত হন যে, যুদ্ধ সর্বদাই জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়।

বৈঠকে কানাডার হাইকমিশনার বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাসের হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অনন্য সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।উভয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়তে পারে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কানাডার সঙ্গে আরও বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উন্মুখ।তিনি বলেন, কানাডায় প্রবাসী বৃহৎ বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী দুই দেশের মধ্যে জনগণের যোগাযোগ বাড়াতে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখছে।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন যে, হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক জোরদার করার জন্য তার প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেবেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনে তাকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে কানাডা বাংলাদেশকে সমর্থন করছে। করোনা চলাকালীন কানাডা সবসময় সহায়তা করেছে এবং মহামারির শুরু থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, কানাডার সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এসময় প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং সরঞ্জাম প্রদান করার জন্য কানাডাকে ধন্যবাদ জানান।কানাডার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে এবং কানাডা সরকারকে স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট স্ট্রিম প্রোগ্রামে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করছি।এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here