একসময় রূপগঞ্জে লঞ্চে যেতে হতো আমরাও গিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ স্টাফ রিপোর্টার: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একসময় রূপগঞ্জে লঞ্চে যেতে হতো। আমরাও গিয়েছি। এখন সড়ক পথ হয়ে গেছে। রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় যে নতুন সেতুটি নির্মাণ হলো এটি রূপগঞ্জ উপজেলার দুটি অংশ সংযোগ করবে। এই সেতুর মাধ্যমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম-সিলেট অভিমুখে যাওয়া একদম সহজ হবে।

সিলেটের রাস্তায় ঢুকে সেখান থেকেই আবার পদ্মা সেতুতে যাওয়া সহজ হবে। কাজেই পদ্মা সেতুতে যাওয়ার কিন্তু অনেকগুলি রাস্তা খুলে যাবে। সেদিক থেকে আমি মনে করি, দক্ষিণ অঞ্চলের সাথেও যোগাযোগ একদম চট্টগ্রাম বা সিলেট পর্যন্ত একটা চমৎকার সংযোগ হবে। রবিবার (২২শে নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শীতলক্ষ্যা নদীর রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া দড়িকান্দি এলাকায়  গোলাম দস্তগীর গাজী সেতু উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা থেকে রূপগঞ্জ পর্যন্ত আমরা একটা বড় সড়কও তৈরি করে দিচ্ছি। এ যোগাযোগটার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ভালো হবে আর সবচেয়ে সুখবর হচ্ছে, যারা জামদানী তৈরি করে তারাতো মহাখুশি। কারণ জামদানীর সূতা ও কাঁচামাল আনা-নেয়া করা। তারা যে জামদানী তৈরি করবে সেইগুলো বাজারজাত করা তাদের জন্য খুব সুবিধা হয়ে যাবে। আমরা যারা একটু জামদানী পড়ি তাদের জন্যতো আরও সুখবর। ভালো জামদানী আমরা পাবো। সুন্দরভাবে তৈরিও হবে। আপনাদেরও খুশি হওয়া উচিৎ কারণ, আপনাদের ঘরের গিন্নিরাওতো খুশি হবে।
এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দিন’র সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক), নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পুলিশ সুপার মোঃজায়েদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি  আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) শামীম ব্যাপারী, রূপগঞ্জ উপজেলা  পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূইয়া ও উপজেলা  প্রকৌশলী এনায়েত করিম প্রমুখ। এসময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোর ও পাবনাতে দুটি সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, শীতলক্ষ্যা নদীর রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া দড়িকান্দি এলাকায় ৫৭৬ মিটার দৈর্ঘ্য এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৪ কোটি ৯ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। সেতু খুলে দেওয়া হলে শীতলক্ষ্যার দুই পারের মানুষের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে এবং পূর্বাচল উপশহর আর ঢাকার মধ্যে রূপগঞ্জের যোগাযোগ সহজ হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here