প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফানকে দুই মামলায় ৬ মাস করে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকেও ৬ মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ কারাদণ্ড দেন। এরআগে কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বাসা থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করেছে র্যাব। এছাড়া তার বেডরুম থেকে ৩৫টি ওয়াকিটকি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন সোমবার ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা করেছেন ওয়াসিফ। মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, প্রোটকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কলাবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি কালো রঙের ল্যান্ড রোভার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৩৬) পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।
ওয়াসিফ ও তার স্ত্রী ধাক্কা সামলে মোটরসাইকেল থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ওই গাড়ি থেকে জাহিদ, দিপু এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিনজন ‘অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ’ করতে করতে নেমে আসেন এবং ‘মারধর’ শুরু করেন। তারা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ ও তার স্ত্রীকে ‘উঠিয়ে নেয়ার এবং হত্যার’ হুমকি দেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
পরে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এমপির গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে যায়। এদিকে এই ঘটনার পর মোবাইল ফোনে একটি ভিডিও ধারণ করেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। এরই মধ্যে ভিডিওটি সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, আহত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা নিজেকে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক বলে পরিচয় দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিচ্ছেন।