মুক্তিযোদ্ধা খসরুই বন্দরের নাট্যান্দোলনকে দেশের বাইরেও জনপ্রিয় করেছিলেন

0
মুক্তিযোদ্ধা খসরুই বন্দরের নাট্যান্দোলনকে দেশের বাইরেও জনপ্রিয় করেছিলেন

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ স্মরনসভা ও দোয়া আয়োজনের মধ্য দিয়ে বন্দরের ঐতিহ্যবাহী সিরাজউদ্দৌলা নাট্যদলের প্রয়াত কর্ণধার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ খোরশেদ আলম খসরুর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী পালণ করেছে মিডিয়া ভিশন থিয়েটার। ১৩অক্টোবর বৃহস্পতিবার বাদ আছর বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী ক্লাব মিলনায়তনে এসব কর্মসূচী পালিত হয়।

মিডিয়া ভিশন এর কর্নধার সাব্বির আহমেদ সেন্টু’র সভাপতিত্বে স্মরনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সৈয়দ খোরশেদ আলম খসরুর জীবদ্দশা নিয়ে আলোকপাত করেন বন্দর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার সরদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জালু,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মোহাম্মদ হোসেন নূর,বন্দর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ কবির হোসেন,সিরাজউদ্দৌলা নাট্যদলের সহ-সভাপতি মোঃ সারোয়ার খান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক নির্বাহী সদস্য মিতু মোর্শেদ,সিরাজউদ্দৌলা নাট্যদলের যুগ্ম সম্পাদক বশির খান,মোঃ রমজান হোসেন,বিমল চন্দ্র ঘোষ,মিয়া মোঃ শহীদ,ইকবাল হোসেন,ইমরান হোসেন,মঞ্জুর আহমেদ মুন্না,সাইফুল ইসলাম রুবেল,সুভাষ চন্দ্র দাস প্রমুখ। স্মরনসভায় বক্তারা বলেন,বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ খোরশেদ আলম খসরু ছিলেন নাট্যাঙ্গনের আলোর দিশারী। তিনি নিজেকে নয় সবসময় অন্যদেরকেই বড় করে দেখতেন। মুক্তিযোদ্ধা খসরুই বন্দরের নাট্যান্দোলনকে দেশের বাইরেও জনপ্রিয় করেছিলেন।

পরিশেষে তার বিদেহী রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও স্কলার্স বাংলাদেশ মাওলানা হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী। জীবদ্দশায় সৈয়দ খোরশেদ আলম খসরু সিরাজউদ্দৌলা নাট্যদলের কর্ণধার ছাড়াও বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটারফেডারেশনের একজন অন্যতম সদস্যও ছিলেন। পাশাপাশি বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংস্কৃতিক কমান্ডার হিসেবে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালণ করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তার নেতৃত্বেই বন্দরের নাট্যান্দোলন বেগবান হয়।

প্রসঙ্গতঃ তিনি আশির দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ বেতারসহ ভারতের কলকাতায় বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় নাটক মঞ্চস্থ করে ব্যাপক প্রশংসা অর্জণ করেন। ব্যাক্তিগত জীবনেও খসরু ছিলেন একজন নির্লোভ, নিরহংকারী, সদালাপী,মিষ্টভাষী ও মিশুক প্রকৃতির। তার তত্ত¡াবধানে ইতোমধ্যে অগণিত নাট্যশিল্পী সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু। উল্লেখ্য,২০২০সালের এই দিনে বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ খোরশেদ আলম খসরু ব্রেনষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তার বন্দর এইচ,এম,সেন রোডস্থ নিজ বাস ভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here