কেউ মনে রাখেনি বিএনপি পাগল রিজভী হাওলাদারকে,আজ প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ লায়ন আনোয়ার হোসাইন উজ্জ্বল : বিএনপির গুলশান অফিসে হাজির হয়ে আর কাউকে দেখা না গেলেও দেখা মিলত বিএনপির একনিষ্ট সমর্থক এই রিজভী হাওলাদারের । কখনো অফিসের গেটের সামনে, কখনো রাস্তার ফুটপাতে বসে সময় কাটত তার। নিজে না খেয়ে টাকা জমিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর প্রতি শোক প্রকাশ করে ব্যানার তৈরি করেছিলেন বিএনপি পাগল রিজভী হাওলাদার নামে এই বিএনপি সমর্থক।

রিজভী হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ছোট্টকান্দা গ্রামে। তার বাবার নাম আজহার হাওলাদার। নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুরে থাকতেন তিনি। তার এক ছেলে, এক মেয়ে রয়েছে। খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের উল্টো পাশে লেডিস পার্কের ওয়ালের সঙ্গে টাঙানো ব্যানারে দেখা গিয়েছিল এক পাশে সদ্য প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ছবি অন্য পাশে কালো চশমা পরিহিত অবস্থায় রিজভী হাওলাদারের ছবি। সেই সময় রিজভী প্রতিদিন ভোর বেলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে গুলশান খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে ব্যানার টাঙিয়ে বসে থাকতেন। সন্ধ্যার পর আবার নারায়ণগঞ্জ চলে যেতেন।

বিএনপি পাগল রিজভী, বিএনপির মিটিং বা সমাবেশ হলে তাকে কেউ বেঁধেও রাখতে পারত না। মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের কর্মস‍ূচিতে তার সরব উপস্থিতি ছিল । সাত সকালে বিএনপির অফিসের সামনে টাঙ‍ানো নিজ ব্যানারের পাশে দাড়িঁয়ে থাকা রিজভী হাওলাদার বলতেন, আমি বিএনপিকে ভালবাসি, জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী, আমি ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) ভালবাসি। ম্যাডামের জন্য আমি আমার জীবন দিতে পারি। নিজের স্ত্রী-সন্তান ত্যাগ করতে পারি, ম্যাডামের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমি এই অফিসের সামনে থাকি। আমার একটাই চাওয়া আমার দল ক্ষমতায় যাক। রিজভী বলেন, বিএনপির নেতারা কি করে। যা করার কর্মীরাই করে। কর্মীরা দলের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত আছে। আজ সেই পাগলা রিজভী হাওলাদারের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করুক আমিন।

পরিশেষে, দিনশেষে এইসব কিছু তৃণমূল কর্মী আছে বিধায় বিএনপি এখনো বেঁচে আছে, বিএনপিকে ভালোবাসে বলে আমি মনে করি। সর্বোপরি এদের কি দলে মূল্যায়ন হয়? যদি মূল্যায়িত না হয় তাহলে দলকে চড়া মূল্য দিতে হবে।

(সংগ্রহ শীর্ষ খবর ডটকম থেকে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here