শর্ষের ভিতর ভূত নেই, ভূত এখন সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের বারান্দায় : এড.জেসমিন সুলতানা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৫ দিন অসুস্হ ছিলাম, আইসোলেশনে, মাঝে মাঝে বারের খবর দেখি মনউচাটন হয় প্রান কাঁদে।প্রিয়মুখ গুলোর মৃত্যু সংবাদে আহত,ব্যথিত হই।কি করবো? কি করার আছে দোয়া করা ছাড়া। খারাপ সংবাদ গুলোর মাঝে একটি সংবাদ পড়ে আঁতকে উঠলো প্রান।

শুধু মাত্র স্টিকার বিক্রি করে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের ওকালত নামা থেকে দশ বছরে কোটি কোটি টাকা গায়েব,সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত,আইনজীবীরা তার হিস্যা থেকে বঞ্চিত ,আইনজীবী সহকারীর তাদের বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত। এতো পুকুর চুরি, সরকার,আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী সবার সাথে জোচ্চুরি।।
এখন প্রশ্ন হলো যে প্রতিষ্ঠানকে,যাকে এতোবড় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সফট ওয়ার এর দায়িত্ব দেয়া হলো সে কে? তার শিক্ষা গত যোগ্যতা কি? সে কার চেম্বারে কখন থেকে, কি হিসেবে ছিল। তার মূলে যেতে হবে,গভীর ভাবে নিরীক্ষা চালাতে হবে, কোন ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে সে এতো বড় অপরাধ জগতের হোতা হলো সে।

আমার দেখা মতে স্টিকার বিক্রেতা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী একজন বেশ নম্র ভদ্র দেখতে সভ্য একজন বলেই জানতাম। আরামবাগের তার বিশাল অফিস ও বিশাল কর্মযজ্ঞ ইতিমধ্যে স্হাপন করেছে।তার আন্ডারে বিদেশ থেকে ডিগ্রি ধারী অনেকেই রয়েছে তাতে আমাদের আপত্তি নেই বাংলাদেশের অনেক শিল্পপতি,ভগ্নিপতি আছেন যারা কার্ড ফেরী করে আজ শিল্প নেতা বনে গেছেন।

আমরা ২০০০ সনে যখন থেকে ওকালত নামা কিনা শুরু করলাম প্রথম সিল লাগাতে ২০০/- পরে ৫০০/-৭০০/- এখন ৯০০/- আমরা আইনজীবীরা কেমন যেন গা সওয়া হয়ে গেছি কোন কিছুর প্রতিবাদ করিনা,প্রতিরোধ করিনা, ৯০০ হলেই কি আর ১০০০/ হলেই কি টাকা কি আমার? টাকাহো পোর খাওয়া,মামলা খাওয়া,জেল খাটা ঐ মানুষটির হয়তো কোন মিথ্যা মামলায় হাবুডুবু খেয়ে আমার দ্বার প্রান্তে।হাঁ আমরা প্রতিবাদ, ঘৃনা,ব্যঙ্গ,মিথ্যাচার করি নিজস্বার্থে ব্যাঘাত ঘটলে, করি ব্যক্তিগত রেশারেশি আর কাঁদা ছোড়াছুড়ি হলে।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোনদিন চোখ মেলে দেখিনি স্টিকার টি কি বা কেমন কে সাপ্লাই দেয়।ক্লার্ককে ফাইলিং খরচ দেই, দরখাস্তে,ওকালত নামায় দস্তখত দেই এর বেশী নয়। ধন্যবাদ করোনাকে,আর ছোট ভাইটিকে স্টিকার কিনতে গিয়ে যার দৃষ্টিতে, নজরে বিষয়টি এসেছে জালিয়াতির বিষয়টি। গতকাল ৯০০/- টাকা করে ওকালত নামায় স্টিকার লাগিয়ে নিয়ে আসার পর চোরের সাক্ষী কে ভাল করে দেখলাম। আমার একটি প্রশ্ন কোটি কোটি টাকা খরচ করে সারা বাংলাদেশে টাকা ছড়িয়ে ছিটিয়ে কেন নির্বাচন করি আমরা তা কি নিজের স্বার্থে না আইনজীবীদের স্বার্থে।এতো টাকাইবা কোথায় পাই এ টাকা উঠাই কিভাবে।

গত বছর গুলোতে সুপ্রিম কোর্ট প্রেমিজ যেন নোংরা জন্জালের ভাগাড়,যেমনি হয়েছে চোরের আখড়া।একজন সিদ্দিক এতোবড় সাহস করবে আমার বিশ্বাস করতে কষ্টহয়।তাহলে কি দূর্নীতি,না উদাসীনতা কোনটি? আগেও এ ঘটনা হয়েছে,তদন্ত, বিচার বা দোষীদের বের করে মামলা দেয়া হয়নি বলেই এতোটা দুঃসাহস ও ৮০০০ আইনজীবীর টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে তারা তদন্তের নামে সবকিছু ধামাচাপা পরে যাবে।হয়েছে ফৌজদারী অপরাধ তার জন্য মামলা হবে তদন্ত করবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা।তদন্তের সময়ে দোষীরা দেশ ত্যাগ করে দেয়ার সু্যোগ দেয়া কিনা তা ভাববার বিষয়।

সিদ্দিকের কোথায় সৃষ্টি? তার এতো শক্ত গোড়াপত্তন কোথায়? তার সহযোগী কারা তাদের বের করতে হবে।এতো বড় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সফটওয়ারের দায়িত্ব একজন স্বল্প শিক্ষিতকে কার স্বার্থে কেন দেয়া হলো তা আমাদের নিজেদের কে স্বচ্ছাপ্রনোদিত হয়ে দেখতে হবে।একদিন ক্লার্ক নেই,আমি গেলাম ওকালত নামায় স্টিকার লাগাতে গিয়ে দেখি সিঁড়ি নীচে কোনায় চোরের মতো বসে সিল মারছে,স্টিকার লাগাচ্ছে দুজন আমার মনে হয়েছিল এতো জায়গা থাকতে এতো টাকার হিসাব এ মাইনকার চিপায় কেন? এখন বুঝতেছি চিপা চাপায় কুকর্মের সুবিধা তাই এ স্হান বেছে নেয়া।

আইনজীবীরা আজ দিশেহারা।মামলা নেই,কাজ নেই,ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা শুনানির সময় সরকারী কর্মকর্তাদের জোড়ালো আপত্তি আহত করে। আপনারাতো তো লক্ষ টাকা ঘরে বসে কামাচ্ছেন।চিন্তা কি কখনো করেছেন তেমন বড় অপরাধ না হওয়া মানুষ গুলোর জামিনে কেন এতো আপত্তি।

ওকালত নামার টাকা আপনার , আমার, সবার তদন্তের নামে সব যেন ধামাচাপা পরে না যায় সে বিষয়ে সবাই সতর্ক হই,প্রতিবাদী হই,প্রতিরোধী হই। আল্লাহ সবাইকে দূর্নীতি মুক্ত রাখুন। আমার কতটাকা আত্মসাৎ করেছে আল্লাহ জানেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here