বন্দর থানায় গনধর্ষণ মামলার আসামিকে সিদ্ধিরগঞ্জে পিটিয়ে হত্যা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার গনধর্ষণ মামলার এক আসামিকে সিদ্ধিরগঞ্জে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে বাদীর পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।বুধবার (২৩ মার্চ) এ ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাসষ্ট্যান্ড সড়ক অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। এতে মহাসড়কের দুই পাশে ১৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ধর্ষিতার দুই ভাই শহিদুল ইসলাম (২৯) ও সাইফুল ইসলামকে (১৭) আটক করেছে পুলিশ। নিহত বাস চালকের নাম মো. রকি(২০)। সে বন্দরের চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত শাহাজউদ্দিনের ছেলে।সড়ক অবরোধকারীরা বিনা বিচারে রকি হত্যার বিচার দাবি করেন। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা মুছাপুর ইউপির চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত শাহাজউদ্দিনের ছেলে মো. রকি ও তার চাচাতো ভাই শুকুর আলীর ছেলে আলমগীর মিলে শুক্রবার রাতে একই এলাকার এক গার্মেন্ট শ্রমিককে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের ঘটনায় রকি ও আলমগীরকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভিকটিম। এ ঘটনায় আসামি রকি ও আলমগীর পালিয়ে গেলে তাদের অবস্থান খবর পেয়ে বাদীর পরিবারের লোকজন বুধবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাংরোড থেকে দুই আসামিকে ধরে এনে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হত্যার বিচারের দাবীতে দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌছে এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গত ১৯ তারিখের বন্দর থানার একটি গণধর্ষণ মামলার আসামি ছিলেন রকি। গতকাল মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে সেই গণধর্ষণ মামলার বাদীর দুই ভাই তাকে দেখে ধরতে যায়।

এসময় সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোডে একটি গণপরিবহন থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন রকি। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান ঐ দুজন। পরে পুলিশকে সংবাদ দেয়া হলে পুলিশ যায়। এ ঘটনা বাদীর দুই ভাই শহিদুল ও শরিফুলকে আটক করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here