প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য চিটাগাং রোড হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালামকে শনিবার (১১ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি বিনা কারণে গ্রেফতার করে।
সন্ধ্যার পর গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রবীন আইনজীবী এডভোকেট মন্টু ঘোষ কোন কারণ ছাড়াই আব্দুস ছালামকে গ্রেফতার করার বিষয়ে ওসি সাহেবের সাথে আলোচনা করেন এবং ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু মন্টু ঘোষের অনুরোধের পরেও তাকে ছাড়া হয়নি। ১৫১ ধারা দিয়ে কোর্টে চালান করা হয়। কোর্ট তাকে জামিনে মুক্তি দেয়।
আব্দুস ছালামকে অহেতুক গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে রবিবার (১২ জুলাই) বিকাল ৪ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই শরীফ। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দুলাল সাহা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউয়িন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, বাংলাদেশ ট্রেড ইউয়িন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউয়িন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, নারাণয়গঞ্জ জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আসাদুল ইসলাম আসাদ ও হকার্স নেতা মহসিন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিনা কারণে ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নেতা আব্দুস ছালামকে চিটাগাং রোড থেকে শনিবার (১১ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গ্রেফতার করেন। আব্দুস ছালাম একজন সাধারণ হকার। অহেতুক তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করলেন ওসি সাহেব। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এডভোকেট মন্টু ঘোষের অনুরোধের পরও তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল। এই করোনাকালে আমরা লক্ষ্য করছি ফুটপাতের হকারদের উপর অহেতুক মামলা, হামলা, নির্যাতন করা হচ্ছে। দেশে প্রায় ১ কোটি হকার ৩ মাস লকডাউনে থেকে তাদের রুটি-রুজিএবং পুঁজি-পাট্টা সব শেষ হয়ে এসেছে। তারপরও লকডাউন তোলার সাথে সাথে ফুটপাতের হকারদের উপর প্রতিদিনই হামলা করা হচ্ছে।
দেশের এই এক কোটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সাথে এটা একটা তামাশার সামিল। হকারদের রুটি-রুজির উপর অহেতুক বারে বারে এই আঘাত খুব অন্যায় হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অবিলম্বে এই ধরনের হামলা বন্ধ করার জোর দাবী জানাচ্ছি। আব্দুস ছালামের কোন ক্ষতি হলে বা তাকে অহেতুক বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হলে তার দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।