প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় মাকে বাচাঁতে গিয়ে ছেলে সোহাগ নিহতের পর মারা গেলেন মা মনোয়রা বেগম। বুধবার (৮ জুলাই) বিকাল ৫টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিসকৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন।
তিনি বলেন, রিক্সাচালক হারেজ বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক। সেখানে তাকে রাখা হয়েছে পুলিশ প্রহরায়। হারেজের উপুর্যপরী ছুরিকাঘাতে মা ও ছেলে মারা যায়। পরে সে নিজের পেটেও ছুরিকাঘাত করে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, পারিবারিক কলহরে জের ধরে মাদকাসক্ত রিক্সাচালক হারেজ গত রাত দুইটায় এ ঘটনা ঘটায়। আহতবস্থায় এদের উদ্ধার করে এলাকাবাসী নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ছেলে সোহাগকে (১৫) মৃত ঘোষনা করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় মনোয়ারা ও ঘাতক হারেজকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
হারেজের সাথে পুলিশ প্রহরা আছে। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের রিকশাচালক হারেস মিয়া পরিবার নিয়ে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল শাহ আলমের টিনের ঘরে ভাড়া থাকেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম স্থানীয় একটি মিনি গার্মেন্টে চাকরি করেন। এছাড়া ছেলে সোহাগ স্থানীয় একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন আর মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। হারেস তার স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতেন।
এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের সংসারে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাত ২টার দিকে হারেস মিয়ার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেন। পরে মাকে বাঁচাতে যায় ছেলে সোহাগ। তখন হারেস তার ছেলে সোহাগকেও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে হারেস নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় আরেক ঘরে থাকা মেয়ে বিথী ঘুম থেকে উঠে এসব দেখে চিৎকার করলে লোকজন এসে সোহাগসহ হারেস ও মনোয়ারা বেগমকে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোহাগের লাশ উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।ওসি তদন্ত সাহাদাত হোসেন জানান, হারেজ ও তার স্ত্রী মনোয়ারার অবস্থা আশংকা জনক।
তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানে পুলিশ প্রহরা রয়েছে। অবশেষে বুধবার (৮ জুলাই) বিকাল ৫টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিসকৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।