মুন্সীগঞ্জে অব্যাহত রয়েছে নদী ভাঙ্গন ব্যবস্থা নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের

0
মুন্সীগঞ্জে অব্যাহত রয়েছে নদী ভাঙ্গন ব্যবস্থা নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মোঃ আনিছুর রহমান র‌লিন মুন্সীগঞ্জঃ মুন্সীগঞ্জে নদী ভাঙ্গনে ভিটে বাড়ি হারিয়েছে দুই শতাধিক পরিবার।গত ৫ দিন যাবত নদী ভাঙ্গন অব্যহত থাকলেও ভাঙ্গন রোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড বা জেলা প্রশাসন। এতে করে সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের সর্দার কান্দি,শম্ভু হালদার কান্দি ও মহেশপুর গ্রামে গৃহহীন হচ্ছে শত শত পরিবার।

ইতিমধ্যে শুক্রবার সকালে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্খানীয় সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)স্নেহা শীষ সহ জেলা প্রশাসনে  উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ স্থানীয়রা জানান,গত তিন বছর যাবত সদর উপজেলার বাংলাবাজার ও শিলই ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তি গ্রামে নদী ভাঙ্গন চলছে। তবে গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর ভাঙ্গনের তীব্রতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে বাংলাবাজার ইউনিয়নের ৩ গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

ভাঙ্গন আতঙ্কে প্রতিদিন বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে গ্রামবাসিরা। এছাড়াও ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে সরকারি বেসরাকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও একটি উচ্চ বিদ্যালয়, ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৫ টি করে মসজিদ ও মন্দির।দীর্ঘ তিনবছর যাবত পদ্মা নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত ৫ দিন যাবত ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুন। এতে করে শতশত পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। কিন্তু ভাঙ্গন ঠেকাতে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। পদ্মার তীব্রস্রোতে আমাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে নিয়েগেছে।

গত ৩ বছর যাবত ভাঙ্গন চলছে। গত ৫ দিনে ভাঙ্গেনর মাত্র অতিরিক্ত ফলে শতশত বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েগেছে। দ্রুত ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন না করলে মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে বাংলাবাজারের অস্থিত্ব। ইতিমধ্যে ভাঙ্গনে বহু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে জানিয়ে বাংলাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব পীর  বলেন,বছরের পর বছর ভাঙ্গছে পদ্মা। এর আগেও নদীর দুই পাড়ে ভাঙ্গন ছিলো বর্তমানে এক পাড়ের চর জাগায় ভাঙ্গন নেই তবে অপর পাড়ে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

তবে এই পর্যন্ত ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১০ টাকার কাজও করেনি। গতবছর শুস্ক সৌসুমে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিলে এবছর পদ্মার এমন রুপ দেখতে হতোনা। অচিরেই ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাম খেয়ালি পনার কারনে ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে নদী তীরবর্তি গ্রামের লোকজন এমনটা জানিয়ে স্থানীয় সংসদস সদস্য এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, অপরিকল্পিত ডেজিং এর ফলে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন না করার ফলে পদ্মার ভাঙ্গন তীব্র হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ গুলো। অচিরেই ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here