প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আজও দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। বিধিনিষেধ শিথিলের তৃতীয় দিন শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল হতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হচ্ছেন। ঘাটে আসা যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চে যোগে পদ্মা পারাপার হচ্ছেন। দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার যানজটে নাকাল ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। হিলাশা পয়েন্ট থেকে সমষপুর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে নাকাল ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। নারী শিশু ও বৃদ্ধাদের নিয়ে চরম ভোগান্তিতে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ।
এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ সচল থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ ও গাদাগাদি কমে এসেছে। তবে লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অধিকাংশ লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিদিনই করোনার মতো মহামারিতে প্রতিবারের ন্যায় সামাজিক দূরত্ব, মাক্স পরা এবং প্রয়োজন ছাড়া না বের হওয়া কোনটাই মানছে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গের মানুষ।
সরজমিনে দেখা যায়, লঞ্চঘাটে হাজারো যাত্রীর ঢল। ফেরিঘাটের অভিমুখে পার্কিং ইয়ার্ডে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী ছোট-বড় শত শত গাড়ি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে। এতে অপেক্ষারত যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন লেন, ১৩টি ফেরি ও ৮২টি লঞ্চ সচল রয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়াঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, ১৩টি ফেরী চলাচল করছে। পর্যায়ক্রমে সব যানবাহন পারাপার করা হবে। লঞ্চ চালু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কমেছে। তবে গণপরিবহন ও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পণ্যবাহী ট্রাকে পারপারে বেগ পেতে হচ্ছে।