প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ আনিছুর রহমান রলিন জেলা প্রতিনিধি: দীর্ঘ ছয় বছর পরে সিরাজদিখান থানার হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে মুন্সীগঞ্জের ডিবি পুলিশ। ডিবি পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সুনীল দাস (৩০), লক্ষণ দাস (৩২), ও মাখন দাস (৩৫)। সুশীল দাস পারিবারিক কলহের জের ধরে গলাটিপে হত্যা করে নন্দনাল দাসের স্ত্রী সুশিলা রানী দাসকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির ওসি মো: মোজাম্মেল হক মামুন।
২০১৫ সালে সিরাজদিখান থানায় নিহত সুশিলা রানী দাসের (১৯) বাবা নন্দলাল দাস একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি সিরাজদিখান থানা পুলিশ দীর্ঘ এক বছরের অধিক তদন্ত করে মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেন ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর।
আদালত মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট সঠিক না হওয়ায় মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে তদন্তের ভার দেন ১৭ সালের ৯ মে। মামলাটির দীর্ঘ তিন বছরের অধিক সময় ধরে তদন্ত শেষে সিআইডিও মামলার জট খুলতে না পেরে মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট ২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জমা দেন।
এ ঘটনায় আদালত সিআইডির দাখিলকৃত চূড়ান্ত রিপোর্টটিও গ্রহণ যোগ্যতা না পাওয়ায় পুনরায় তদন্ত করার জন্য ২১ সালের ৬ জানুয়ারি ডিবি মুন্সীগঞ্জের কাছে হস্তান্তর করেন।
মুন্সীগঞ্জের ডিবি পুলিশ তিন মাস সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। সাথে সাথে ওই মামলার এজাহারনামীয় তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আসামিদের মধ্যে সুনীল দাস (৩০) নিজে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দোষ স্বীকার করেন। পরে তিনি আদালতে বুধবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।