মুন্সীগঞ্জে ভয়াবহ বিস্ফোরণ,কারণ উদঘাটন হয়নি, শঙ্কায় মেয়রের স্ত্রী

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ আনিছুররহমান রলিন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: মিরকাদিম পৌরসভার সদ্য পাস করা মেয়রের বাড়িতে পূর্বের মেয়রের হিসাব নিকাশ নিয়ে বৈঠক করছিলেন। হঠাৎ করে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণে প্যানেল চেয়ারম্যান ৪ কাউন্সিলরসহ ১৪ জন পুড়ে গুরুতর আহত হয়। মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে সূত্র মতে জানা গেছে।

মুন্সীগঞ্জ মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুস সালামের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে একাধিক সূত্র মতে জানা গেছে। তাতে মেয়র হাজী আব্দুস সালাম ভালো থাকলেও তার স্ত্রী কানন বালা গুরুতর আহত হয়েছেন। আরো আহত হয়েছেন ১৪ জন। আহতরা হলেন মো: তাজুল (২০), মো: মোশারফ (৫০), মো: মনির হোসেন (৫০), শ্যামল দাস (৪৫), পান্না (৫৫), কালু (৪৫), মেয়রের স্ত্রী কানন, (৪০), ইদ্রিস আলী (৫০), কাউন্সিলর মো: সোহেল (৫২), কাউন্সিলর আওলাদ (৪৭), কাউন্সিলর দ্বীন ইসলাম (৪০), কাউন্সিলর রহিম বাদশা (৫৫) ও মহিউদ্দিন (৫২), সচিব ছিদ্দিকুর রহমান। এদের মধ্যে দুজনকে মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

১২ জনকে ঢাকা বার্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আছেন এ ঘটনায় মেয়র হাজি আব্দুস সালামের সমর্থকদের দাবি, নাশকতার লক্ষ্যে তার বাড়িতে একটি পক্ষ এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজন প্যানেল মেয়র রয়েছেন। তারা হচ্ছেন আওলাদ হোসেন ও রহিম বাদশা। অপর আহত কাউন্সিলর সোহেল রানা। তবে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে নাশকতার বিষয়টির কোনো আশঙ্কা নেই বলে নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা মনিরুজ্জামান রিপন জানান, বিকট একটি শব্দ হয় জানালার গ্লাসগুলো চুর মার হয়ে ভেঙ্গে পড়েছে।

তখন ভেবেছিলাম গ্যাস সিলিন্ডার কিনা। পরে দেখি না কোনো গ্যাস সিলিন্ডার না। আহত প্যানেল মেয়র রহিম বাদশা জানান, পৌরসভার একটি কাজের ব্যাপারে চারজন কাউন্সিলরসহ আমরা কয়েকজন মেয়রের বাসায় আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ বিকট আওয়াজে কিছু একটা বিস্ফোরণ ঘটে। কিসের থেকে এমন বিস্ফোরণ ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি কেউ।জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শৈবাল বসাক জানান, একজন ছাড়া সকলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আহতদের সকলেরই বার্ন ইনজুরি। ১৪ জনের মধ্যে মেয়রপত্নী কাননসহ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুবকর ছিদ্দিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষ্ফোরণ কি কারণে হয়েছে তা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের তদন্তের পরে জানানো যাবে। সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ জানান, কোনো ধরনের নাশকতা বা বোমা বিষ্ফোরিত হয়নি এমনটা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আমাদের ধারণা গ্যাসের চুলা হয়তবা ছাড়া ছিল ফলে গ্যাসে রুমগুলো পরিপূর্ণ ছিল কেউ লাইটার দিয়ে কিছু ধরাতেই বিষ্ফোরণ ঘটেছে।

তিনি আরো জানান, একমাত্র মেয়রের স্ত্রী কানন বেগমই বলতে পারবেন আসলে কিভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেই সবচেয়ে বেশি বার্ন হয়েছে। আশঙ্কামুক্ত নন এখনো এমনটিই জানিয়েছে মেয়রের পরিবার। তিনি সুস্থ হয়ে এলেই হয়তবা রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হতে পারে। ডিবির ওসি মো: মোজাম্মেল হক জানান, বিস্ফোরনের কোনো কারণ খুঁজে না পেলেও সিআইডি তদন্ত করে গেছে। বিষয়টি এখনো লিখিতভাবে কোনো কিছু জানাননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে দুই দিন গ্যাস বন্ধ থাকা অবস্থায় পাকের ঘরের গ্যাসের সকল চুলা হয়তবা চাবি দেয়া ছিল।

গ্যাস না থাকায় তারা জানতেই পারেনি যে গ্যাস আছে কি নাই। ঘরে গ্যাস ভর্তি হয়ে গিয়েছিল ফলে কেউ দিয়াশলাই বা লাইটার দিয়ে গ্যাসের চুলা বা সিগারেট ধরাতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে এমন একটি ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি বিস্ফোরক দল তদন্ত করে অন্য কোনো ইঙ্গিতও পেতে পারে। তদন্তের পরেই প্রকৃত ঘটনার বিষয় জানানো যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here