না’গঞ্জ জেলা হেফাজতের আমীর মাওলানা আবদুল আউয়ালের পদত্যাগ

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। তিনি জেলা আমীরের পদে আর থাকবেন না। তবে হেফাজতে ইসলামের একজন কর্মী হিসেবে তিনি সংগঠনে থাকবেন। হরতাল ইস্যুতে মহানগর নেতাদের অতি বাড়াবাড়ি ও পরদিন দোয়া মাহফিল ভিন্নস্থানে করার অভিযোগ এনে আমীরের পদে থাকতে অনীহা আবদুল আউয়ালের।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) পদত্যাগের বিষয়টি জানান তিনি নিজেই। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে পদত্যাগের বিষয়টি তিনি মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এবং প্রয়োজন হলে লিখিত দেবেন বলেও জানান। তিনি জানান, ২৮ মার্চ হরতালের দিন সকালে মসজিদে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। তারা মসজিদের গেটের সামনে তিনটি কামানা, সাজোয়া যান পুলিশের গাড়ি দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় মিছিল বের করতে চাইলে অ্যাকশনে যাবে। প্রয়োজনে গুলি খাবে।

তখন আমি সকলের জানমালের স্বার্থে মসজিদের গেটের বাইরে যেতে বারণ করি। কারণ আমাদের তো অস্ত্র নাই। কিন্তু মহানগরের অতি উৎসাহী নেতারা মিছিল করতে চেয়েছিল। যদি সেদিন মিছিল করতে গিয়ে আমাদের উপর গুলি ছোড়া হতো, কেউ লাশ হতো তখন তো এ আবদুল আউয়ালকে দোষারোপ করা হতো। মসজিদে গুলি ছুড়লে ঝাঝরা হয়ে যেত। এ কারণে আমাদের উপর অনেকেই ক্ষুব্ধ। তারা আজকে ডিআইটি মসজিদে বাদ আছর দোয়া না করে দেওভোগে করেছে। কারণ আমাকে তো বাদ দিয়েই দিছে। তাই আমি আর দল করবো না। ভবিষ্যতে আর নেতৃত্ব দিব না। মসজিদ মাদ্রাসা নিয়েই থাকবো। আমার এখন বার্ধক্য বয়স তাই আমি ভবিষ্যতে আর নেতৃত্বে থাকবে না।’

সকাল সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, সানারপাড়, মাদানীনগর, শিমরাইল উত্তপ্ত থাকলেও নারায়ণগঞ্জ শহর ছিল একেবারে শান্ত। ভোর থেকে শহরের ডিআইটি জামে মসজিদের সামনে হেফাজত নেতারা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তবে বেলা সাড়ে ১০টার পর থেকে একে একে নেতাকর্মীরা চলে যান।

শহরের ডিআইটি এলাকায় ভোর সকাল থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা রেলওয়ে ডিআইটি মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেন। ভোর থেকেই ডিআইটি মসজিদে পুলিশ, বিডিআরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘিরে রাখে। সকাল ৭টার দিকে পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যেই হেফাজতের নেতাকর্মীরা মসজিদের বারান্দা ও আঙিনার মধ্যে হরতালের পক্ষে স্লোগান দেন।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মসজিদে ঢুকে হেফাজতের জেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে কথা বলেন। পরে মসজিদের ভেতরে কিছু নেতাকর্মী অবস্থান নেন এবং বাকিরা বের হয়ে বাড়ি ফিরে যান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here