মুন্সীগঞ্জে বাঁশের বেড়া দিয়ে নদী ভাঙ্গা রোধের চেষ্টা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ  মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো বার বার সহযোগিতা চেয়ে
প্রশাসনের কাছে সহয়তা না পেয়ে পরে নিজেরাই ভাঙ্গন ঠেকাতে ভাঙ্গন এলাকায় বাশেঁর বেড়া দিচ্ছেন। সরেজমিনে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বাঁশ দিয়ে বেড়া নির্মাণ করছেন স্থাণীয়রা।

ওই এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে বিগত কয়েক বছর যাবত ভাঙন দেখা দিয়েছে । এতে হুমকির মুখে পরেছে, উত্তর বেতকা পশ্চিমপাড়া নদীর পার জামে মসজিদসহ স্থাণীয় বাড়িঘর। শুক্ন মৌসুমে হালকা ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী বাঁশ খুটি দিয়ে মসজিদটি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । তবে যে কোন মুহুর্তে মসজিদটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার মিজান খান, সুজন খান, নুর হোসেন, আক্কাশ আলী, আজিজ খা, রফিক সেখের বাড়ি  নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

অদূরেই রয়েছে বেতকা পশ্চিমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ওই অঞ্চলের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। শুক্ন মৌসুমে যদি ভাঙ্গন রোধ করা না হয় আসছে বর্ষায় পানির স্রোতে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাস্তাটিও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন। তাই তারা ভাঙ্গনরোধে অচিরেই ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে দাবী জানিয়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই অঞ্চলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধলেশ্বরী নদীটি এখনো পানিতে দু-কূল ভরে উঠেনি। কূলের অনেক নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কিছুটা স্রোত রয়েছে। আর এই স্রোতেই হালকা ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

এ ব্যপারে পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন জানান, ইতিমধ্যে আমাদের মসজিদের প্রসাব খানাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ওযু খানাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমরা দুবার ইউএনও অফিসে আবেদন করার পরও কোন সাহয্য সহযোগীতা পাচ্ছিনা। এ ব্যপারে স্থাণীয় বেতকা ইউপি চেয়ারম্যান আলম শিকদার বাচ্চু জানান, আমি বিভিন্ন সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরে তারা পরিদর্শন করেন।

কিন্তু তারপরেও তারা কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহিঙ্গীর আলম জানান, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। খোজঁ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here