না’গঞ্জে বিদ্রোহীদের নিয়ে মিশনে নেমেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সজীব

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে অপমান অপদস্থ করতে এবং তাকে নেতাকর্মীদের কাছে হেয় করতে বিদ্রোহীদের নিয়ে মিশনে নেমেছেন সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীব। শুধু তাই নয়, জেলা ছাত্রদলের বাকি থাকা ইউনিট কমিটিগুলো যেন না হয় সেজন্য নানা অজুহাতে কমিটিতে স্বাক্ষর করছেন না সজীব।

সর্বশেষ জেলা বিএনপির সাথে অঙ্গ সংগঠনের বৈঠকে না থেকে বিদ্রোহীদের দিয়ে রনিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার পরিকল্পনা করেন সজীব। আর এ পরিকল্পনায় ফতুল্লা বিএনপির ও জেলা বিএনপির একজন সদস্য পেছন থেকে কলকাঠি নাড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিজের স্বাক্ষর করা ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের কমিটির বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের মাঠে নামিয়ে তাদেরকে দিয়ে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করানোর পেছনেও সজীবের হাত রয়েছে বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগ। এ অভিযোগের পরও বিদ্রোহীদের সাথে একাধিকবার দেখা গেছে সজীবকে।

ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের বিদ্রোহী কমিটির সমন্বয় সাগর সিদ্দিকির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করেন সজীব। সাগর সিদ্দিকির ঘনিষ্ঠ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। একই সাথে বিদ্রোহী কমিটি করতে সজীব উৎসাহ ও সাহস দিয়েছেন বলেও জানায় সুত্রটি। তবে নেতাকর্মীদের সমন্বয় করতে এবং রনির বিরুদ্ধে মিছিল কুশপুতুল দাহ করতে ফতুল্লা থানা বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা উস্কানি দেন এবং সহযোগিতা করেন বলে জানায় সুত্রটি।

নিজের স্বাক্ষর করা ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের কমিটির বিরুধে অবস্থান নেয়া এবং নিজের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে অপদস্থ করার মিশন নিয়ে সজীবের কাজ করার পেছনে কাজ করছে সোনারগাঁও থানা ছাত্রদলের কমিটি। কমিটি সজীব নিজের আয়ত্তে রাখতে এবং সেখানে রনি ও অন্যানদের কোন প্রভাব যেন না থাকে সেজন্য চাপ সৃষ্টি করতেই এ কাজ করছেন সজীব।

এদিকে শনিবার জেলা বিএনপির বৈঠকে হামলার ঘটনার পর সাগর সিদ্দিকি আহত হবার পর তাকে হাসপাতালে দেখতে যান সজীব। তবে এর কিছুক্ষন আগে হওয়া জেলা বিএনপির সাথে অঙ্গ সংগঠনের বৈঠকে তিনি উপস্থিত হননি। এ ঘটনায় সজীব ছাত্রদলের বিভাগীয় টিমের কাছে নালিশ করেছেন রনির বিরুদ্ধে। তাদের কাছে রনির শাস্তি দাবি করেছেন। একই সাথে সাগর সিদ্দিকিরা এ ঘটনা রনিসহ ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি জানান, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের নতুন কমিটি হবার পর প্রতিদিনই কোন না কোন অঘটনা ঘটাচ্ছে তারা। কমিটি ঘোষণার পরদিন শুক্রবার লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে ভয়ভীতি দেখানো হয় কমিটির পদপ্রাপ্তদের। এ হামলায় আহত হন থানা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান দোলন, যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদ, ছাত্রদল নেতা রেমন রাজীব, রাজু। থানায় এ ঘটনায় রাজীব জিডিও করেছিল তবে ছাত্রদলের বিষয় হওয়ায় এটি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করেনি তারা।

রনি বলেন, তৈমুরের বাসায় যাবার পর তারা আমার উপর হামলা করবে এটি ছিল পরিকল্পনা। সাগর তো আমার ছোট ভাই, সাগর নিজেও চেনেনা তাকে কে মেরেছে। আমার ভাই রুবেল, ভাগিনা আরাফাত তাকে বাঁচাতে গিয়ে লাঠির আঘাত পেয়েছে। আঘাত পেয়েও তাদের নামে মামলা হয়েছে।এর আগেও জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী- আক্তার খন্দকার, বিপ্লব, রাকিব উদ্দিন সুমন, রুহুল আমিনকে মারধর করায় লাঞ্ছিত করে। এবার সে আমাকে টার্গেট করেছে।

রনি বলেন, আমার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সজীব আর তাই আমি তার বিরুদ্ধে কিছু বলবোনা। তবে সে এসব করে ছাত্রদলে লাভের চাইতে ক্ষতিই বেশি করছে। তার কর্মকান্ড সম্পর্কে নেতাকর্মীরা অবগত রয়েছেন এবং এসব ঘটনার সুরাতা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের উপর আমি ন্যাস্ত করেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here