প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জাম হারুন জেলা প্রতিনিধি: আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৫২ কেন্দ্রের মধ্যে ২১ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মাথায় নিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত সকল প্রার্থী বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী বলছেন, সকল কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। আর ইসলামী আন্দোলন মেয়র প্রার্থী বলছে ৫২ কেন্দ্রের মধ্যে ২১টি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) আর দলীয় প্রতীকে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকাল ৮টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চাঁদপুর নির্বাচন কমিশন ও রিটানিং অফিসার। তবে ৫২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিযোগ করলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তা মনে করছেন না।
নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন, কাউন্সিলর পদে ৫০ জন ও মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন; আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল (নৌকা প্রতীক), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. আক্তার হোসেন মাঝি (ধানের শীর্ষ) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশিদ বেলাল (হাত পাখা)।
চাঁদপুর পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৫৯ হাজার ২৭ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ৫৮ হাজার ৮৫৯ জন। চাঁদপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের ৫২টি ভোটকেন্দ্রের ৩০৫ টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি কক্ষে দু’টি করে ইভিএম মেশিন থাকবে। এর মধ্যে একটি অতিরিক্ত থাকবে।
প্রতি কেন্দ্রে একজন করে প্রিসাইডিং অফিসার, প্রতি কক্ষে একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুজন পোলিং অফিসার নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কাজে দায়িত্ব পালন করবেন । এছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে ১০ জন করে আনসার ভিডিপি সদস্য ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকবেন ।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও বিজিপি, এপিবিএন, আনসার সমন্বয়ে গঠিত স্টাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবেন।