চাঁদপুরের মতলবে ২ মাস ১০ দিন পর কবর থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ  নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাও উত্তর ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের দক্ষিণ হাজী বাড়িতে আদালতের নির্দেশে দাফনের ২ মাস ১০ দিন পর মজিবুর রহমান রহমান নামে (৪০) এক ব্যবসায়ীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে প্রশাসন। শনিবার (২ জুলাই) দুপুর ১টার সময় মতল দক্ষিণের হাজী বাড়ির কবরস্থান থেকে মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালতের নির্দেশক্রমে,
একজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট, মুন্সিগঞ্জ সদর থানা ও মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশের উপস্থিতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে এ মরদেহউত্তোলন করা হয়।

জানাযায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘোনা গ্রামের খলিলুর রহমানর ছেলে মজিবুর রহমান রহমান মুন্সিগঞ্জের সিপাই পাড়া মদিনা
প্লাজায় রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করতেন। ১০ বছর আগে মুন্সিগঞ্জের বল্লোল এলাকায় রিনা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। বিবাহের পর থেকে স্ত্রী মজিবুর রহমানের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে দিতেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। সবশেষ গত ২২ এপ্রিল মজিবুর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন জানিয়ে রিনা বেগম তার মরদেহ পাঠিয়ে দেয় মতলবে। প্রথমে মজিবুর রহমানের পরিবার তা বিশ্বাস করে মরদেহ দাফন করে ফেলে।

কিছু দিন পর মজিবুরের মোবাইলে থাকা ডকোমন্ট, বন্দুদের কথাবার্তা ও গোষল দেওয়া ব্যাক্তিদের কথা শুনে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে মজিবুরের পিতা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে পুত্রবধু রিনা বেগম, সিজলিং রেস্টুরেন্টের কর্মচারী শাওনসহ আরো অজ্ঞাত ৬জনকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় আদালতের নির্দেশে মজিবুরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।এ বিষয়ে মামলার বাদী খলিলুর রহমান জানান, আমার ছেলের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য রিনা বেগম, শাওন ও আরো কয়েকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

আমি হত্যা কারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং ফাঁসি চাই। মজিবুরের বোন খাদিজা আক্তার বলেন, আমার ভাইকে ভাবী তার লোকজন নিয়া মেরে ফেলেছে ওরা আমাদের খবর পর্যন্ত দেয়নি। ঘোনা গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে গোসল করানো ব্যক্তি রুবেল জানান, আমি লাশের গোসল দিয়েছি, তখন লাশের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। তাছাড়া লাশের গাড় ও মাথা বাকানো ছিল। নিহতের ছোট ভাই গোলাম রাব্বাী বলেন,বিদুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেছে বলে জানায় স্ত্রী। যারা গোষল করাইছে তারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নে দেখতে পেয়েছে।

মজিবুরের ছোট বোন খাদিজা আক্তার বলেন, আমার ভাইকে ভাবী তারলোকজন নিয়া মেরে ফেলেছে। ওরা আমাদের খবর পর্যন্ত দেয়নি। রিনা বেগম একবার বলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে, একবার বলে হার্ট এটাক করে মারা গেছে আবার বলে বিদুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেটু কুমার বড়ুয়া বলেন, মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালত ও চাঁদপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশক্রমে মজিবুরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পুনরায় এখানে আবার দাফন করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here