মতলব উত্তরে হাম রুবেলা টিকাদন কর্মসূচী উপলক্ষ্যে এডভোকেসি সভা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃকামাল হোসেন খান মতলব (চাঁদপুর) সংবাদদাতা : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে জনসচেতনতা সৃষিষ্টর লক্ষ্যে হাম রুবেলা টিকাদান কর্মসূচী উপলক্ষ্যে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার (৮ মার্চ) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভাকক্ষে আয়োজিত এডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (এমওডিসি) ডা.মোঃ আল-আমিন এর পরিচালনায় এডভোকেসি সভয় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেরে (জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু) ডা. মোঃ ইসমাইল হোসেন। এডভোকেসি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন ভুইয়া, ছেংগারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আঃ মান্নান বেপারী।  এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ মেহেদী হাসান, মেডিকেল অফিসার ডা. ম্ঃো জাবেদ, এমটিইপিআই ভাষান চন্দ্র কীর্তনয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন,সাধারণ সম্পাদক অজিত কুমার দাস প্রমূখ।

উল্লেখ্য আগামী ১৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে ৯ মাসস থেকে ১০ বছরের কমবয়সী শিশুদের এ হাম-রুকেল টিকাদান কর্মসূচি। এমধ্যে, ১৮ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ প্রথম ধাপ চলবে বিভিন্ন প্রাথমি বিদ্যালয়,কিন্ডারগার্টেন,মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিকাদান। ২৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপে নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্রে এ হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচী চলবে। সভায় বক্তারা জানান, হাম রুবেলা ভাইরাসজনিত দুটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রোগ সাধারণত একজন আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে তার সংস্পর্শে আসা অন্যদের মধ্যে অতি দ্রুত ছড়ায়। শিশু ছাড়াও যেকোন বয়সের মানুষের হাম-রুবেলা হতে পারে।

তবে শিশুদের মধ্যেই হাম-রুবেলার প্রকোপ, জটিলতা এবং মৃত্যু বেশি দেখা যায়। হামের জটিলতাগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অপুষ্টি, এনকেফালাইটিস, অন্ধত্ব ও বধিরতা অন্যতম। হাম রুবেলা রোগের প্রকোপ থেকে সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদন কর্মসূচির (ইপিআই) মাধ্যমে নিয়মিত টিকাদন কর্মসূচিতে ৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১ম ডোজ এমআর টিকা ও ১৫ মাস বয়সী সকল শিশুকে ২য় ডোজ এমআর টিকা সংযুক্ত করেছে।

এছাড়াও ২০০৮ সাল থেকে হাম রোগভিত্তিক সার্ভেইল্যান্স এবং ২০১২ সাল থেকে কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম (সিআরএস) সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম চালু করেছে সরকার। বক্তারা আরও জানান, ৯ মাস থেকে শুরু করে ১০ বছরের কমবয়সী শিশু। পূর্বে হামের টিকা বা এমআর টিকা পেয়ে থাকলেও অথবা হাম বা রুবেলা রোগে আক্রান্ত হলেও ঐ বয়সের সকল শিশুকে ১ ডোজ এমআর (হাম-রুবেলা) টিকা দেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here