প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান হারুন, চাঁদপুর: এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ তুলে অতি লোভে ঋণের টাকা এক মহিলাকে দিয়ে এখন কপাল পুড়ছে তাদের। ওই মহিলার নাম শেফালী বেগম। এ নিয়ে ২৮ জানুয়ারি সকালে সালিশী বৈঠক বসলেও কোনো সুরাহা দিতে পারেনি স্থানীয় মাতাব্বররা।
জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের মধ্য পিংড়া গ্রামের ছায়েদ মোল্লার স্ত্রী শেফালি। স্থানীয় ২১ মহিলাকে একত্রিত করে তাদেরই নামে বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা উত্তোলণ করেন।
টাকা উত্তোলনের পর শেফালি ওই ২১ জন মহিলাকে মোটা অংকের সুদ এবং ঋণের কিস্তি চালিয়ে নেওয়ার কথা দেয়। কথামতো ঋণের কয়েকটি কিস্তি চালিয়ে নেয়।
পরে কিস্তির টাকা বন্ধ করায় ওই গ্রামের বকাউল বাড়ির মকবুল বকাউলের স্ত্রী ¯জোসনা, হারুন বকাউলের স্ত্রী তফুরা বেগম, জাকিরের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, মজিবের স্ত্রী মুক্তা, মৃত আঃ রব মিয়ার স্ত্রী পেয়ারা বেগম, নুরু বকাউলের স্ত্রী শান্তি বেগম সহ বেশ কয়েক জন মহিলার সাথে শেফালির ঝগড়া হয়। তাদের ঝগড়া মিমাংসা করতেই সালিশী বৈঠক বসলেও কোনো সমাধান হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, ওই মহিলারা তাদের স্বামীকে না জানিয়ে অতি লোভে এনজিও থেকে ঋণ তুলে শেফালিকে দেয়। এখন সমস্যা হওয়ায় বিষয়টি সবাই জেনেছে। ২৮ জানুয়ারি মিমাংসের কথা থাকলেও কোনো সমাধান হয়নি। এ ব্যাপারে জোসনা বেগম বলেন, আমি এনজিও থেকে ৮০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলাম। কয়েকটা কিস্তি চালানো পর সে (শেফালী) এখন আর কিস্তি চালাচ্ছে না, আমি এর বিচার চাই।