চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ হচ্ছে।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করা হচ্ছে। আর এতে করে গ্রামের বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছে সাফ্যলের মুখ দেখছেন কৃষিবিদেরা ক্যাপসিকাম নামক এই সবজিটি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া নুরনগর গ্রামে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন কৃষকরা। এই গ্রামে সাধারণত মাটি উর্বর হওয়ায় ক্যাপসিকাম চাষ ভালো হয়।

নুরনগর গ্রামের কৃষক গোলাম আলী জানান, ক্যাপসিকাম সবজির বীজ তাইওয়ান থেকে বাংলাদেশে আনেন তারা। সেপ্টেম্বর মাসের পরপরই বীজ বপন করতে হয়। ১ মাসের মধ্যে চারা গজায়। এরপর চারা মাটিতে রোপণ করতে হয়। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে চারা মাটিতে রোপণের উপযোগী সময়। চারা লাগানোর এক মাসের ভেতরে গাছে ফল ধরে। ১৫ দিন পরে ফল বিক্রি করা যায়। ১ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষে খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ৫ হাজার ক্যাপসিকামের চারা রোপণ করা যায়।

একই গ্রামের খাইরুল ইসলাম জানান, গত বছর ১ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করে ভালো লাভ হয়। এ কারণে চলতি মৌসুমে ২০ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। জমিতে লাগানো প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। চলতি মৌসুমে ৪ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন। জমিতে এখনো ৬ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আলী হাসান জানান, জেলার আবহাওয়া ভালো হওয়ায় এখানে ক্যাপসিকাম চাষ ভালো হয়। জেলার সাধারণ কৃষকদের মাঝে ক্যাপসিকাম চাষে উৎসাহ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here