কোটচাঁদপুর পৌরমেয়র জামাত নেতা জাহিদুল ইসলাম জিরের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ  ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জামাত বিএনপিনেতা লম্পট জাহিদুল ইসলাম  জিরের বিরুদ্ধে এক স্বামী পরিত্যাক্তকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা  লম্পট জিরেসহ ৪ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার সকালে কোটচাঁদপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে নির্যাতিতা। ধর্ষিতা অভিযোগ করেন, গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি কোটচাঁদপুর শহরের নার্সিং হোম ক্লিনিকের মালিক আজাদ তাকে বিয়ে করে। কিছুদিন পর থেকে সে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার  করে আসছিল। ২৬ আগস্ট সকালে কোটচাঁদপুর শহরের নার্সিং হোম ক্লিনিকে গিয়ে স্বামীর দাবি নিয়ে গেলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জামাত নেতা এক সময়ের ছাত্রদলের কুক্ষাত সন্ত্রাসী লম্পট জাহিদুল ইসলাম জিরে এক নং আসামি আজাদের সহযোগিতায় তাকে ধর্ষণ করে।

সেখান থেকে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে নির্যাতিতা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। নির্যাতিতা নারী বিচার প্রার্থনা করে থানায় ঘোরাঘুরি করলেও ক্ষমতাবান জামাত নেতা লম্পট জাহিদুল ইসলাম জিরের ক্ষমতার কারনে থানা পুলিশ মামলা গ্রহন করেননি বলে বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, বিএনপি জামাতের আমলে লম্পট জাহিদুল ইসলাম জিরে এলাকার নিরিহ আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের নির্যাতন করে এলাকা ছাড়া করেছে। সে আমলে তার ভয়ে  অনেক আওয়ামী লীগ কর্মি বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়ায়।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর  ঝিনাইদহ-৩ আসনের কিছু হাইব্রীট নেতাদের হাতে হাত মিলিয়ে বনে গেছেন আওয়ামী লীগ নেতা এমনকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে ছবি তুলে নিজেকে আওয়ামী লীগের বড় নেতা দাবী করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর  ২০১৫ ইং সালে কোটচাঁদপুর পৌর সভা নির্বাচনের পর জামাত বিএনপি নেতা  এককালের ছাত্রদলের কুখ্যাত সন্ত্রাসী জাহিদুল ইসলাম জিরে ওরফে জিরে মাস্তান কিছু  হাইব্রƒীট আওয়ামী লীগারদের বদৌলতে কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়ে শুরু  করে দুর্নীতি। উক্ত পৌরসভা নির্বাচনের পর জামাত বিএনপির সমর্থীত কয়েক জন  কাউন্সিলরদের নিয়ে কৃষকদের ৪০ কেজি সার ও ১ হাজার টাকা বরাদ্দের কর্মসুচিতে  পুরো সার ও টাকা মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরে হজম করে।

ভিজিএফ’র চাউল জন প্রতি  ১০ কেজি বরাদ্দ থাকলেও প্রতি জনকে মাত্র ৬/৭ কেজি প্রদান করে বাকিটা তিনি হজম করে চলেছেন। কোটচাঁদপুর পৌর কবরস্থানের ৯৮ লক্ষ টাকার সংস্কারের কাজ বিনা টেন্ডারে তারই আপন ভাই শরিফুল ইসলামকে প্রদান করে যা ৩ বছরেও কাজ সম্পন্ন করেনি কিন্তু পুরো  ৯৮ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে হজম করেছেন। পৌর সভার সকল রাস্তা ঘাট, কালভার্ট, ড্রেনসহ নানা কাজ বিনা টেন্ডারে তার ভাই শরিফুল ইসলামকে প্রদান করে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্যসাৎ করেছেন। মাত্র সাড়ে চার বছর মেয়র পদে থেকে নামে  বেনামে ৩৫ বিঘা জমি ব্যাংক একাউন্টে কোটি কোটি টাকা ও বিলাস বহুল ৩ তলা
বাড়ির মালিক বনে গেছেন।

কিছু দিন পূর্বেও পৌর এলাকার পোস্ট অফিস মোড়ের  আশরাফুল আলম পটলার মেয়ের সাথে লটর পটর করার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে বিবাহ  করতে বাধ্য হয়। এব্যাপারে জাহিদুল ইসলাম জিরেকে জিজ্ঞাসা জন্য তার ব্যবহাহৃত মেবাইল ০১৭১৫৩৯৩৬৩৮ নাম্বারে ফোন করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।  এব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহবুবুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান শুনেছি জাহিদুল ইসলাম জিরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন  তবে এখন পর্যন্ত জামিনের কাগজ হাতে পাইনি তবে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here