প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় ফ্ল্যাট বাসায় বাইরে থেকে তালা দিয়ে ৫ ঘণ্টা এক কিশোরীকে আটক রেখে ধর্ষণের ঘটনায় যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান শ্যামলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষককে সহযোগিতা করার অভিযোগে মঙ্গলবার ভোরে কাশিপুর ইউনিয়নের খিলমার্কেট এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শ্যামল কাশিপুর ইউনিয়নে যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও একই ইউনিয়নের নুর মোহাম্মদের ছেলে।
এদিকে এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সাংবাদিকরা শ্যামলের ছবি তুলতে গেলে শ্যামলের ক্যাডার বাহিনী হামলা চালিয়ে ছবি তুলতে বাধা প্রদানসহ ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেস্টা করে। হামলায় চ্যানেল এস,এ টিভির ফতুল্লা প্রতিনিধি জনি ও সাংবাদিক রাকিব শিশির আহত হন। এ সময় পুলিশ হামলাকারী এক সন্ত্রাসীকে আটক করে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৪ বছর বয়সের কিশোরী বাড়ির কাছে আরেকটি বাড়িতে আরবি পড়ে। সেখানে আসা-যাওয়ার পথে প্রায় খিলমার্কেট এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে তুর্জ (১৯) মেয়েটির পথরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা-মা কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামলের কাছে বখাটে তুর্জের বিচার দাবি করেন। এতে শ্যামল উল্টো কিশোরীর বাবা-মাকে গালাগাল করে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।
গত ১৯ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় আরবি পড়তে যাওয়ার পথে কিশোরীকে রাস্তা থেকে ধরে তুর্জ তাদের ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে যায়। এর পর তুর্জ ওই কিশোরীকে ফ্ল্যাটে রেখে বাহির থেকে দরজায় তালা দিয়ে চলে যায় সহযোগীরা। এর মধ্যে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে তুর্জ। এর মধ্যে কিশোরী যথা সময় বাসায় না ফেরায় তার বাবা-মা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে অবশেষে রাত ৯টায় তুর্জের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে তুর্জের বাসা থেকে একে একে তার ২-৩ জন সহযোগীকে পালিয়ে যেতে দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কিশোরীকে উদ্ধার করেন বাবা-মা। ওই সময় যুবলীগ নেতা শ্যামল বিচার করার কথা বলে তার আড্ডাখানায় নিয়ে কিশোরীর বাবা-মাকে দীর্ঘ সময় বসিয়ে রাখেন। এর মধ্যে ধর্ষক তুর্জ পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা-মা বুঝতে পেরে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত শ্যামলের বিরুদ্বে চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই,মাদক সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত পাশাপাশি শেল্টার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।তবে গতকাল রাতের একটি ধর্ষনের ঘটনায় সে তার অফিস কক্ষে বিচার-শালিশী করেছে এবং ধর্ষক কে ছেড়ে ও দিয়েছে।এ ঘটনায় বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে চাচা শ্যামল কে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত শ্যামলকে তড়িঘড়ি একটি মাইক্রোবাসে করে মুখ ঢেকে দুপুর বারোটার দিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, ধর্ষণকারীসহ তার অপর সহযোগীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।