প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে ইতিহাসের হাতছানি ছিল আজ। ডারবানের কিংসমিডে পঞ্চম দিনে মুমিনুল হকদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৬৩ রান। ডিন এলগারের দলের মাত্র ৭ উইকেটের দরকার ছিল। পঞ্চম দিনে কেশভ মহারাজের বোলিং তোপে মাত্র ৫৫ মিনিটেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯ ওভারে ৫৩ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। সফরকারীদের ২২০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
চতুর্থ দিন বিকেলে ১১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পঞ্চম দিন সকালে খেলতে নেমে যেন আরও বেশিই খেই হারিয়ে ফেললেন। পঞ্চম দিনে ইনিংসের পঞ্চম বলেই মুশফিকুর রহিমকে তুলে নেন কেশভ মহারাজ। আগেরদিন শূন্য রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক এদিন কোনো রানই যোগ করতে পারেননি নিজের বা দলের খাতায়। মুশফিকের আউটের ঠিক ১২ বল পরে মহারাজের আরেক শিকার লিটন দাস। ৬ বলে ২ রান করা লিটন ফেরেন আরেক সিমন হার্মারের ক্যাচ হয়ে। স্কোরবোর্ডে ১৬ রান তুলতেই বাংলাদেশের নেই ৫ উইকেট।
লিটনের আউটের পর আবারও ঠিক সেই ১২ বল পরে আবারও দৃশ্যপটে সেই কেশভ মহারাজ। এবার শিকার নিজের পঞ্চম আর বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেট। ৭ বলে ৫ রান করা ইয়াসির ফেরেন মহারাজের বলে বোল্ড হয়ে। মহারাজের ৫ উইকেটেই শেষ নয়, সতীর্থের টপাটপ উইকেট তুলে নেয়া দেখে উজ্জীবিত হয়েই আগেরদিন এক উইকেট নেয়া সিমন হার্মার ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজকে। ৪ বলে খেলে কোন রান না করেই বিদায় নেন মিরাজ।
কিংসিমিডের দর্শকেরা সকালে স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই বাংলাদেশের ৭ উইকেট নেই মাত্র ৩৩ রানে। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে কিছুটা আলো দেখিয়েছিলেন নাজমুল হসেন শান্ত। তিনে নামা এই ব্যাটসম্যান টিকে ছিলেন ক্রিজের ওপর প্রান্তে। তবে বিধি বাম, ৫২ বলে ২৬ রান করার পর হার্মারের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনিও। বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারায় ৫০ রানেই।
এরপর টেল এন্ডার খালেদ আহমেদকেও শূন্য রানেই ফেরান কেশভ মহারাজ। ৫১ রানেই ৯ উইকেট হারানো বাংলাদেশের তখন অপেক্ষা কত বড় পরাজয় বরণ করতে হয় সেই হিসেবের। সেই অপেক্ষাটাও মিটিয়েছেন ওই কেশভ মহারাজই। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই অংক ছোঁয়া তাসকিন আহমেদকে ১৪ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ২২০ রানের বিশাল পরাজয়ই দিলেন এই প্রোটিয়া স্পিনার।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশভ মহারাজ আর সিমন হার্মার বাদে অন্য কোনো বোলার বোলিংয়েই আসেনি এদিন, আসলে আসার প্রয়োজনই পড়েনি। ১০ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন কেশভ মহারাজ একাই। আর ৯ ওভারের মধ্যে ৩ মেডেনে ২১ রান দিয়েই বাকি ৩ উইকেট হার্মারের।