টি টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পরপরই বাংলাদেশ দলকে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্ট সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৫ জুলাই) ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই এ অভিনন্দন জানান তারা।

এছাড়া অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।অভিনন্দন বার্তায় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, অসাধারণ নৈপুণ্যে জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে টাইগারদের এ ধারাবাহিক  জয় বিশ্ব ক্রিকেটে  বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করল।  করোনা মহামারির এ দুঃসময়ে নানা দুঃসংবাদের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ধারাবাহিক এ পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন,আগামী দিনেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই অসাধারণ নৈপুণ্য অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশই আগামী দিনের ক্রিকেট বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে।এদিন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠেন সৌম্য সরকার। শুরুতে বোলিংয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। পরে ব্যাটিংয়েও দারুণ ম্যাজিক দেখান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
মাহমুদউল্লাহ-সৌম্য নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের দেওয়া সর্বোচ্চ স্কোর তাড়া করে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে রোববার (২৫ জুলাই) বিকেলে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে টাইগাররা। এতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল সফরকারীরা। এ ম্যাচে জয়ে বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো এক সফরে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ ট্রফি জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য তারা করতে নামেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও সৌম্য সরকার। নাইমকে হারিয়ে প্রথম ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ২০ রানেই ওপেনিং জুটি ভাঙেন ব্লেসিং মুজারাবানি। লুক জঙ্গুয়ের হাতে ক্যাচ তুলে ৩ রানেই সাজঘরে ফেরেন নাইম।
সাকিব আল হাসান ক্রিজে এসে সৌম্যকে নিয়ে আশা জাগাচ্ছিলেন। দুই ছয়ের পর ফিরলেন সাকিবও। প্রথম দুই ডেলিভারিতে ছয়, এরপর একটি ডট। তবে সাকিব সামলাতে পারেননি নিজেকে। লুক জঙ্গুয়েকে আবারও তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। স্লটে পেলেও খেলতে চেয়েছিলেন টেনে, ব্যর্থ হয়েছেন তাতেই। জঙ্গুয়ের আঘাতে ফেরার আগে ১৩ বলে ২৫ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দারুণ ছন্দে এগিয়ে যান সৌম্য। তবে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
তবে লুক জঙ্গুয়ের ফুল লেংথের বলটা আড়াআড়ি তুলে মারতে গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু লাগেনি ঠিকঠাক। লং-অফে ধরা পড়েছেন ৪৯ বলে ৬৮ রান করে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটিতে উঠে ৩৫ বলে ৬৩ রান।বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আফিফ হোসেনও। হাঁটু গেঁড়ে দারুণ এক শটে ছয় মেরেছিলেন। এরপর অফস্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করেছেন আফিফ, হয়েছেন বোল্ড। আউট হওয়ার আগে ৫ বলে ১৪ রান সংগ্রহ করেন তিনি।  
শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহকে ফেরান মুজারাবানি। মুজারাবানির অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছেন, উইকেটের পেছনে ডানদিকে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন রেজিস চাকাভা। ২৮ বলে ৩৪ রান মাহমুদউল্লাহর। শেষ পর্যন্ত শামীম হোসেন ৩১ রানে এবং নুরুল হাসান ১ রানে অপরাজিত ছিলেন। এর আগে, টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে টাইগাররা। মেহেদীর জায়গায় নামানো হয় নাসুমকে। অন্যদিকে, আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই নামে স্বাগতিকরা।
হারারেতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয় জিম্বাবুয়ের। টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলেন স্বাগতিক ওপেনাররা। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৩ রান তোলেন মারুমানি ও মাধিভেরে। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা মারুমানিকে ব্যক্তিগত ২৭ রানে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন সাইফউদ্দিন। ২০ বলে ২৭ করা মাররুমানিকে বোল্ড করে দেন এই পেস বোলিং অল-রাউন্ডার। পরে সৌম্য সরকারের ডাবল আঘাতে বিধ্বস্ত হয় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং স্তম্ভ। রেজিস চাকাভাকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি। ৪৮ রানে সৌম্যের বলে শামীমের ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আর স্বাগতিক অধিনায়ককে শূন্য রানেই ফেরান সৌম্য।
সৌম্যর জোড়া উইকেটের পর রান-রেট কমে আসে জিম্বাবুয়ের। এর মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে চতুর্থ ফিফটি পেয়ে যান ওয়েসলি মাধেভেরে। তবে বেশি দূর যেতে দেননি সাকিব আল হাসান। ৫৪ রানেই তাকে সাজঘরে পাঠান সাকিব। এরপর ডিওন মায়ার্সকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের এটিই সর্বোচ্চ স্কোর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here