প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জামিনে কারামুক্তি পেয়েছেন দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন।এদিন দুপুর ১টায় সেলিমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি টিম হাজী সেলিমের জামিনের কাগজপত্র নিয়ে বিএসএমএমইউতে প্রবেশ করেন। পরে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে বুঝিয়ে দেন। সরিয়ে নেওয়া হয় কারা পুলিশের নিরাপত্তা।
দীর্ঘ দিন কারাগারে থাকার পর তিনি আজ মুক্ত হলেন।এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে ১০ বছর দণ্ডের বিরুদ্ধে হাজী সেলিমকে আপিলের অনুমতি দেন আদালত।২৪ মে সকালে দুদকের মামলায় হাইকোর্টের দণ্ড বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল করা হয়। সঙ্গে জামিনের আবেদন করেন তিনি।
গত রোববার (২২ মে) দুর্নীতির মামলায় ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে যেকোনো শর্তে জামিনের আবেদন করেন।এদিন দুপুর ২টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালত হাজী সেলিমকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠান। কারাগারে উন্নত চিকিৎসা ও প্রথম শ্রেণির ডিভিশন চেয়ে আরও দুটি আবেদন করা হয়।
জামিন না দিয়ে এরপর সাজা ভোগের জন্য তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরে ওইদিন বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে আদালত থেকে পিকআপ ভ্যানে তাকে নিয়ে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টার দিকে কারাগারে পৌঁছান তিনি।তবে কারাগারে এক রাত কাটিয়ে সোমবার (২৩ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয় হাজী সেলিমকে। হাসপাতালের ৫১১ নম্বর কেবিনে কারারক্ষীদের পাহারায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
গত ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে হাইকোর্ট থেকে মামলার নথি এসে পৌঁছায়। এদিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে রায়ের নথি পাঠানো হয়।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান সে সময় বলেন আইন অনুযায়ী আজ থেকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর হাইকোর্টের রায়ের ফলে তার সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা নেই।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা-৭ আসনের এই সংসদ সদস্যকে ১০ বছরের সাজা দেয় আদালত। ২০০৭ সালে দুদকের পক্ষ থেকে লালবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। পরের বছরের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি।
গত ২২ মে দুদকের করা মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে বিচারক শহীদুল ইসলাম তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।