প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ পীর আবদুল মান্নান: ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের ভাগ্যে এবারও কোনো সুখবর নেই। গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের কারও ঠাঁই মেলেনি। অনেকের প্রত্যাশা ছিল আশি ও নব্বই দশকের ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা কেন্দ্রে বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে অবস্থান পাবেন। আবার অনেকের আশাবাদ ছিল ২০০১ সালের পর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সাবেক ছাত্রনেতারাও ভালো অবস্থানে আসবেন। কিন্তু কমিটিতে পরিবর্তন না আসার কারণে সাবেক ছাত্রনেতাদের মাঝে কমিটি ঘোষণার পরই হতাশার কালো ছায়া নেমে আসে।
জানা গেছে, প্রথমদিকের আলোচনায় ছাত্রলীগের অনেক সাবেক সভাপতি সাধারণ সম্পাদক আশাবাদী ছিলেন। এর বাইরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাবেক ছাত্রনেতাও প্রস্তুত ছিলেন নতুন পদ-পদবির। তাদের ধারণা ছিল গত তিন ও দুই মেয়াদে যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অথচ ভালো সাংগঠনিক সক্ষমতা দেখাতে ব্যর্থ ছিলেন তারা বাদ পড়বেন। কিন্তু কেউই বাদ পড়েননি। এমনকি প্রেসিডিয়ামে বৈঠকে যোগ দিয়ে ঘুমে ঢলে পড়ারাও কমিটিতে রয়েছেন। উপদেষ্টা কমিটিতে আছেন গ্ল্যামারহীন অনেক সুশীল বুদ্ধিজীবী। অথচ জনপ্রিয়ধারার আওয়ামী ঘরানার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সাবেক ভাইস চ্যান্সেলরদের ঠাঁই মেলেনি। একইভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো যা ছিল তাই আছে।
গত তিন বছরে মাত্র দুটি সম্মেলন হয়েছিল সারা দেশে। শেষ এক মাসে ব্যাপকভাবে সম্মেলন আয়োজন করা হয়। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল শেষ মাসে এত সম্মেলন কেন? এর বাইরে সম্পাদকীয় পদে অবস্থানকারীরা কতটা সফল ছিলেন সেই মূল্যায়নও কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। শুধু সভানেত্রীর নাম ঘোষণার পর পুরো হাউস করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে। বাহির ছিল স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত। গোটা হাউস শেখ হাসিনার সঙ্গে আগামী দিনের রাজনীতি করার জন্য দৃপ্ত শপথ ঘোষণা করে। কিন্তু বাকি পদগুলো ঘোষণার পর তেমন হাততালি পড়েনি। যা ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিভিন্ন টিভি পর্দায় বাইরের দৃশ্যপট লাইভ সম্প্রচার করা হয়। যা সারা দেশের সাধারণ মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। আওয়ামী লীগের মাঠের অনেক কর্মী বলেছেন, রাজনীতি একজনের জন্যই করি আমরা। বাকিদের মাঠে-ঘাটে পাই না। তাই কে কী হলো তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।