বিএনপি-জামায়াত নিষ্ক্রিয় হয়েছে, নিস্তেজ হয়ে যায়নী: মোহাম্মদ নাসিম।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জঙ্গিবাদের উত্থানের মধ্য দিয়ে আবারও গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন বিএনপি-জামায়াত নিষ্ক্রিয় হয়েছে। নিস্তেজ হয়ে গেছে। কিন্তু নিঃশেষ হয়ে যায়নি। কারণ এখনও আমরা দেখি পুলিশের গাড়ি ও রাজপথে হামলা হচ্ছে। ওই জঙ্গিবাদের উত্থান আবারও আমরা শুনতে পাই।

শনিবার (১ জুন) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের আয়োজনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসিম বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ১৪ দল ততদিন থাকবে। ওই অপশক্তিকে আর কোনও দিন ফিরে আসতে দেয়া হবে না। মানুষকে নির্যাতন করার জন্য আর তাদের সুযোগ দেয়া হবে না। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা বার বার বিজয়ী হবো। যেভাবে লড়াইয়ের মাঠে বিজয়ী হয়েছি।

আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘যখনই এদেশের গণতন্ত্রকে আঘাত করা হয়েছে তখনই আওয়ামী লীগকে আঘাত করা হয়েছে। যখনই আঘাত করা হয়েছে নিরীহ নেতাকর্মীদের, আঘাত করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে, ঠিক তখনই বাংলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের লড়াই শুরু হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

তিনি বলেন আমরা ১৫ আগস্ট হারিয়েছিলাম জাতির জনককে। তাঁকেই হত্যার মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তির যাত্রা শুরু হয়েছিলো। শুরু হয়েছিলো শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যার মধ্য দিয়ে। জাতীয় চার নেতাকে জেলের মধ্য হত্যার মধ্য দিয়ে সেই ষড়যন্ত্রের চক্রান্ত শুরু হয়েছিলো সেই খলনায়ক জিয়া-মোস্তাক ও স্বৈরশাসকদের মাধ্যমে অশুভ শক্তির গোড়াপত্তন হয়েছিল। নাসিম বলেন এরপর অনেক সময় চলে গেছে। ৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বাংলাদেশে সমস্ত বেদনা সংহত করে লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু আপনারা জানেন এখনও গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টা থেমে নেই। আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই থামে নাই। চক্রান্ত থামে নাই।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে সেই চক্রান্ত্র শুরু করেছিলো আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করে। তারপর ২০০১ সালে কি নির্মম অত্যাচার হয়েছে আপনারা সবাই জানেন। শুধু আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নয়, সংখ্যালঘু ভাইবোনদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। তারপর দীর্ঘ সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই ১৪ দল গঠিত হয়েছিলো। কয়েকযুগ লড়াই সংগ্রাম করে আবারও সেই গণতন্ত্রকে ফিরেয়ে এনেছিলাম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সেই থেকেই শুরু হয়েছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা।

১৪ দলের এই মুখপাত্র আরও বলেন ঈদের পরেই আমরা শেখ হাসিনার নিদের্শে বিভিন্ন পর্যায়ে সভা সমাবেশ করবো। সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো। এই সমাবেশের মাধ্যমে জেলা উপজেলাতে আওয়ামী লীগ যেভাবে সুসংগঠিত হবে ১৪ দলও সেইভাবে সুসংগঠিত হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাহাজাহান খান প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here