নির্বাচনের খবর সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা দিলে ৩ বছরের জেল

0
নির্বাচনের খবর সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা দিলে ৩ বছরের জেল

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নির্বাচনের খবর সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা দিলে সংশ্লিষ্টদের জন্য ৩ বছরের কারাদণ্ডের বিধান চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।রোববার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, আপনাদের ক্যামেরাই আমাদের চোখ। আমাদের চোখে যেন প্রত্যেকটা অনিয়ম ধরা পড়ে, এজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। আমার (ইসির) অন্যায়গুলো আপনার চোখে ধরা পড়লে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমার ভুল-ভ্রান্তি দেখিয়ে দিন, আমি নিজেকে শুধরে নেবো। এই মূল্যায়ন আমি মিডিয়াকে করে আসছি।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অনিয়ম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। এজন্য এই নির্বাচনে ২৬৫টি ভোটকক্ষের ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরা রেখেছি। কন্ট্রোল রুম আমাদের ইসিতেই আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেখানে যেটা অনিয়ম ধরা পড়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।তিনি বলেন, জোরপূর্বক একজনের ভোট একজন দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা চিহ্নিত করেছি। মাঠ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।

সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতিা নিশ্চিত হয়। এ ছাড়া, যারা সন্ত্রাসী, জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তারা ভয়ের মধ্যে থাকে। ১১টা বুথে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অনিয়মে জড়িতদের সঙ্গেসঙ্গে আইনের আওতায় এনেছি।তিনি আরও বলেন, সংসদ নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা থাকবে। এটার সঙ্গে আর্থিক ও ট্যাকনিক্যাল সাপোর্টের বিষয় আছে।

কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটও নেই। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে।এই নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেবো। ইচ্ছা আছে পুরো নির্বাচনটাই সিসি ক্যামেরার মধ্যে আনা। সংসদের আগে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করব এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। সময়ের সঙ্গেসঙ্গে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজনীতা বাড়ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here