প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসুন দেখে যান পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক, আমার শক্তি ছিল জনগণ। জনগণ সাথে থাকায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। জনগণের শক্তি সঙ্গে নিয়ে আমি পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি।শনিবার (২৫ জুন) মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংক টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিল, তখন আমি বলেছি পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় তৈরি করব। আমার শক্তি ছিল জনগণ। বাবা-মা হারিয়ে আপনারাই ছিলেন আমার সম্বল। পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি, আপনাদের তার কষ্ট করতে হবে না। আর যারা বাধা দিয়েছিল তাদের আমরা উপযুক্ত একটা জবাব দিয়েছি।তিনি বলেন, পদ্মা সেতু হয়েছে। কৃষি ও মৎস্য পণ্য আমরা প্রক্রিয়াজাত করে রফতানি করতে পারব। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। অন্তত ২১ জেলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা এলাকা এত দুর্গম ছিল, আজকে সেখানে রাস্তাঘাট, পোল, ব্রিজ করেছি বলেই সব জায়গায় যোগাযোগ হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে। এই এলাকার লোক যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, সেজন্য পায়রা পর্যন্ত আমরা সেতু বানিয়ে দিয়েছি। এখন নিশ্চিন্তে মানুষ চলাফেরা করতে পারে।এর আগে মাওয়া পয়েন্টে একজন যাত্রী হিসেবে টোল পরিশোধের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে মাওয়া পয়েন্টে প্রধানমন্ত্রী স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন।তিনি সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে মাওয়া পয়েন্টে পৌঁছান। সেখানে তিনি সুধী সমাবেশে যোগ দেন কর্মসূচিতে যোগ দেন। মাওয়া প্রান্তের ফলক উন্মোচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে জাজিরা পয়েন্টে পৌঁছে সেতু ও ম্যুরাল ২-এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।