১২টি দেশের যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ করোনার অভিঘাতে আবারও হুমকির মুখে বাংলাদেশ। গেল দু-তিন সপ্তাহ ধরে টানা সংক্রমণ ও মৃত্যু বৃদ্ধির পর গত পরিস্থিতির মোকাবিলায় গত সোমবার (২৯ মার্চ) ১৮ দফা জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। যার মধ্যে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, ইউরোপের বাইরের অন্তত ১২টি দেশ থেকে কেউ বাংলাদেশ প্রবেশ করতে পারবে না। সেই ১২ দেশের মধ্যে রয়েছে, আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, ব্রাজিল, চিলি, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, পেরু, কাতার, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক ও উরুগুয়ে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের কোনও দেশ থেকেই সরাসরি বাংলাদেশে আসা যাবে না। আগামী শনিবার (০৩ এপ্রিল) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে বলবৎ থাকবে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত।

বছরের শুরুতে যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন স্ট্রেইন শনাক্ত হওয়ার পর দেশটি থেকে গত ৩ মাসে ৪ হাজার ৩৮২ জন বাংলাদেশে এসেছে। যাদের মধ্যে ৩ হাজারের বেশি ব্যক্তি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে গড়ে প্রতিদিন ২৫০ জন যাত্রী দেশে আসছিল। সরকারের নির্দেশনার পর এ সংখ্যা এরইমধ্যে কমতে শুরু করেছে।

গেল বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর টানা কয়েক মাস করোনার তাণ্ডব চলে। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে পরিস্থিতি ক্রমে শিথিল হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই গত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে জানানো হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। একইসময়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গেল ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনার গণটিকা দান কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। তবে চুক্তি অনুযায়ী ভারত সরকার সময়মতো টিকা সরবরাহ না করায় এ কার্যক্রম অনেকাংশেই ব্যাহত হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here