প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের জন্য বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। টিকিট বিক্রি প্রথম দিন রাজধানীর গাবতলী ও মহাখালী ছাড়াও মাজার রোড, কল্যাণপুর, শ্যামলী, কলেজগেট, আসাদগেট, পান্থপথ ও কলাবাগান এলাকার বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার থেকে সকালে টিকিট সংগ্রহ করতে সকাল থেকেই ঈদযাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। টিকিট কিনতে বাস কাউন্টারগুলোতে ভোর থেকেই দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষার সময় গুণতে দেখা যায় সব বয়সী মানুষকে। শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৮টা থেকে গাবতলী ও মহাখালী টার্মিনাল থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত এই টিকিট বিক্রি চলবে।
কল্যাণপুরে শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার আলমগীর কবীর ব্রেকিংনিউজকে বলেন প্রত্যেকবারই বিশেষ ২/১ দিনের টিকিটের চাপ বেশি থাকে। এবারও তাই। ৩০ তারিখ বৃহস্পতিবার। পরের দুই দিন ছুটি। এরপর আবার ২৭ রমজান। তারপর একদিন ফাঁকা। এরপর আবার ছুটি। বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবিরা ৩০ মে’র টিকিট বেশি কিনছেন। ৩ তারিখে বেসরকারি চাকরিজীবীদের প্রেসার বেশি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত টিকিট দিতে। তবে সবাই ৩০ মে ও ৩ জুনের টিকিট চাইলে তো দেয়া সম্ভব নয়।
অন্যদিকে তিন ঘণ্টা পেরুতেই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাবতলী হানিফ পরিবহন কাউন্টার থেকে জানানো হয়, ৩ জুনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এ নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন টিকিট প্রত্যাশীরা। জানতে চাইলে হানিফ পরিবহনের কল্যানপুর কাউন্টারের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম জানান, আজ সবাই এসে ৩ তারিখের টিকিট কেটে নিয়ে গেছে। ৩ তারিখের টিকিটের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস এর মালিক শুভঙ্কর ঘোষ জানান, ৩ জুন বেশিরভাগ গার্মেন্টস ছুটি দেয়া হবে। তাই, ঐদিন বাসে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এনা পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ আতিক জানান, ১৮ জুন থেকে ময়মনসিংহ ছাড়া সকল রুটের অগ্রিম টিকেট দেয়া হবে। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী বাস কিছুক্ষণ পরপরই ছেড়ে যায় বলে বাসের অগ্রিম টিকিট দেয়া হয় না। বাস আসা সাপেক্ষে সব যাত্রী যেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে শুরু করেছেন।