সিদ্ধিরগঞ্জে ভাসুরের বটির কোপে কব্জি হারানো ঘটনাটি অন্য দিকে ঘুরিয়ে স্বার্থ আদায় করতে চাচ্ছে একটি মহল

0
সিদ্ধিরগঞ্জে ভাসুরের বটির কোপে কব্জি হারানো ঘটনাটি অন্য দিকে ঘুরিয়ে স্বার্থ আদায় করতে চাচ্ছে একটি মহল

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ৯ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সিদ্ধিরগঞ্জ মধ্য সানারপাড় এলাকায় সাবিনার ভাসুর মানিক মিয়া বটি দিয়ে কোপ দিয়ে হাতের কব্জি ফেলে দেয়। ননদের জন্য খাবার রান্না করে দিতে যেয়ে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে ফাতেমার স্বামী মানিক মিয়াকে উত্তেজিত করে হাতে বটি এনে দেয় স্ত্রীর দেওয়া বটি দিয়ে আপন ছোট ভাইয়ের বউ সাবিনার হাতের কব্জি কোপ দিয়ে ফেলে দেয়।

কাটা কব্জি পেকেটে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে যায় পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট থেকে উন্নত ট্রিটমেন্ট নিতে সিটি হসপিটালে নিয়ে যায়।এ দিকে শস্যের ভিতর ভুতের জন্ম দেয় এলাকার কিছু পাতি নেতা, মানিক মিয়া ও তার স্ত্রী ফাতেমাকে নিজ ঘরে আগুন দিতে বলেন স্বার্থান্বেষী মহলটি। অতপর, মানিক মিয়া নিজ মোবাইলে ৯৯৯ ট্রিপল নাইনে কল দিয়ে জানায় তার ঘরে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে এবং ঘরে আগুন দিয়েছে, তাতক্ষনিক সিদ্দীরগঞ্জ থানা পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর (উপ-পরিদর্শক) হুমায়ন কবির ও সাব ইন্সপেক্টর নয়ন ঘটনাস্থলে আসেন।

নাটকীয় মানিক ও তার স্ত্রী ফাতেমাকে গ্রেফতার করেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ১ ঘন্টায় ছাড়িয়ে আনবে বলে আশ্বাষ দেন একটি সন্ত্রাসী চক্র। বিষয়টি অস্পষ্টতার দিকে নিয়ে বিচারকার্য দুর্বল করে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারটির।পুর্ব থেকে প্লানিং করে স্বামী স্ত্রী ফাতেমা ও মানিক মিলে আপন ভাইয়ের বউ সাবিনার হাতে ধারালো বটি দিয়ে কোপ দেয়। পরিবারটির অন্যান্য সকল সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায় কলহের মুল কেন্দ্রবিন্দু গহনা বন্দকের টাকার সুদ টানছেন মানিকের আরেক বোন চাদনী, মানিক মিয়া ও সুমনদের পৈত্রিক সম্পদ বাড়িটি স্বামী স্ত্রী মিলে একাই ভোগ দখল করার চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।

অন্যান্য ভাই বোনদেরকে মুখের ভাষা খারাপ করে সর্বদা গালাগাল করার অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রতিবেশীরা বলছেন মানিক ও তার স্ত্রী অন্য ভাই বোনদেরকে মুখের ভাষা খারাপ করে গালিগালাজ করে প্রায় সময়ই।বিপাকে পড়েছে ভার্সিটিতে পড়ুয়া ছোটবোন ইতি আক্তার ভাবীর অশান্তিতে টানা হেচরায় দিনাতিপাত৷ করতে হচ্ছে তার।ছোট ভাইয়ের বউ সাবিনাকে দেখে রক্ত চড়াও হয়ে যায় ফাতেমার পুর্বে সান করা ধারালো বটি এনে স্বামী মানিকের হাতে তুলে দিয়ে সাবিনাকে এবং ছোটবোন ইতিকে আর সজিবের স্ত্রী চাদনীকে গর্দান কাটার কথা বলে স্বামীকে উত্তেজিত করতে থাকে একপর্যায়ে আসামী মানিক হাতে বটি পেয়ে কোপাতে থাকে ছোটবোন ইতির মাথায় আঘাত লাগে, তাকে ফিরানোর জন্য দৌড়ে যায় ছোট ভাই সুমনের বউ সাবিনা, সাবিনাকে উদ্দেশ্য করে কোপ দিলে আত্মরক্ষার জন্য হাত বাড়ালে হাতে কোপ লাগে সরাসরি কব্জি পর্যন্তে কেটে যায়।

সরেজমিনে যারা উপস্থিত ছিলেন সকলেই ধৃত আসামীদের সঠিক বিচার চাইছেন, কঠিন শাস্তির জন্য রক্তের বন্ধন ভুলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দৃষ্টান্ত মূলক সাজার মাধ্যমে শান্ত-শৃঙ্খল পরিবার সমাজ ফিরে পেতে দাবী জানিয়েছেন পরিবরটি।এ দিকে টাকা পয়সা দিয়ে আইনের ফাক ফোকর খাটিয়ে জামিনে বের হয়ে উল্টো ভগ্নী পতি সজিব সহ সকলের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট একটি নিউজ করিয়েছেন, যাহা সম্পুর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তথা কথিত অনলাইন ভুঁইফোড় দৈনিক ফ্রন্টিয়ার পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ধারী সাজ্জাদ হোসেন খোকন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহিন প্রতিবেদন তৈরী করে পাবলিষ্ট করে মামলার হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগগভাবে।

ভুক্তভোগী পরিবারটি জানায়, ভুয়া হুমকিদাতা নিউজকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রস্তুতি চলছে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশাসনসহ সন্ত্রাস বাহীনি ব্যবহার করছেন অপরাধীরা। তাদের করা নিউজে টাকা পয়সা স্বর্ণলংকার লুটপাট হয়েছে এই বিষয়টি সরেজমিনে দেখা যায়, ঘরের আসবাবপত্র ঠিকঠাক রয়েছে এবং আসামী ফাতেমা,সাদিয়া,মানিক মিয়া সমাজের মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছে না মুখ লজ্জায় এলাকার বাহিরে আত্বীয়ের বাসায় বাসায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দ্বায়ের করা হয়। ফাতেমা, মানিক, সাদীয়ার বিরুদ্ধে মামলা নং-২২/২৪, উক্ত মামলায় আসামীরা পরের দিন জামিনে বের হয়ে নানান হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসীদের দ্বারা নানান হয়রানী করছেন পরিবারের অন্য সদস্যদের।ঘটনাটি নিজ পরিবারের নিজেদের মধ্যে হওয়ায় দূরত্ব না বাড়িয়ে সমঝোতার কথা বলছেন এলাকার গন্যমানণ ব্যক্তিবর্গ।তথ্য নিয়ে জানা যায় এই পরিবারের জায়গা জমি দখল করার পায়তারা করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। মিথ্যা বানোয়াট মামলা করার উস্কানী দাতাদের আইনের আওতায় দাবী জানাচ্ছেন এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষগণ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here