প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস চোর কয়েল কারখানা মালিকদের মধ্যে শুরু হয়েছে গণমাধ্যমের
পরিচালক ও সাংবাদিক হওয়ার প্রতিযোগীতা। নিশ্চিন্তে নিজের অপকর্ম চালিয়ে যেতে কয়েল কারখানা মালিকরা হচ্ছেন আইপি ও ইউটিউব টিভি উপদেষ্টা, পরিচালক ও স্টাফ রিপোর্টার। কারখানায় কোন অভিযান হবেনা এমন আশ্বাস দিয়ে আই পিটিভি ধান্ধাবাজ চক্র মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ও নিয়মিত মাসোহারা দেওয়ার শর্তে কয়েল কারখানা মালিকদের বানাচ্ছে উপদেষ্টা, পরিচালক ও স্টাফ রিপোর্টার। মাসিক উৎকোচের বিনিময়ে মাদক ও দেহ ব্যবসায়ীদের গলায় ঝুলিয়ে দিচ্ছে সাংবাদিকের কার্ড।
এ কার্ড গলায় ঝুলিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে গাঁজাখোর ও বিতর্কিতরা। জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জে ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় অন্তত মশার কয়েল তৈরির ২০/২৫টি কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় চোরাই লাইন সংযোগ দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে গ্যাস। পরিবেশ ছাড়পত্রও নেই অধিকাংশ কারখানার। সিংহ ভাগ কারখানার নেই বিএসটিআইর অনুমোদন। ফলে কয়েকমাস পর পর তিতাস ও বিএসটিআইর কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে অর্থদন্ড ও কারখানার গ্যাস লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিন্তু ধান্ধাবাজ চক্র ও দালালদের সহযোগীতায় কারখানা মালিকরা আবার গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে দেয়।
অভিযোগ জানা গেছে,অভিযান ও গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করা হবেনা এমন আশ্বাস দিয়ে আইপি টিভি ধান্ধাবাজরা কারখানা মালিকদের কাছ থেকে এককালিন মোটা অংকের অর্থ ও নিয়মিত মাসোহারা দেওয়ার শর্তে উপদেষ্টা ও পরিচালক বানাচ্ছে। এত টাকা দিয়ে যারা পরিচালক হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন তাদের বানানো হচ্ছে স্টাফ রিপোর্টার। যারা কিছুই হতে চায়না তাদের কারখানায় অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে এমন অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কারখানা মালিকের। তিতাস কর্মকর্তাদের নিয়ে কোনা কোন কারখানায় তারা অভিযান চালিয়ে প্রমাণ করছে তিতাস কর্মকর্তাদের সাথে তাদের সখ্যতা।
ফলে এসব ধান্ধাবাজদের রোষানল থেকে রক্ষা পেতে কারখানা মালিকরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একাধিকবার তিতাস কর্মকর্তাদের অভিযানে জরিমানা ও গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করা মিজমিজি মতিন সড়ক এলাকার ডিকে কয়েল কারখানা মালিক আলম ও ধনুহাজী রোড এলাকার গর্জন কয়েল কারখানা মালিক পারভেজ ইতোমধ্যে একটি আইপি টিভি পরিচালক হয়েছেন। আরো অনেকই হওয়ার চেষ্টা করছেন। নিজ বাসায় দেহব্যবসা করার অভিযোগে কিছুদিন আগে পাইনাদী এলাকা থেকে আইপি টিভি এক কার্ডধারীকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
আইপি টিভিতে সংবাদ প্রচার করতে সরকারি বিধিনিষেধ থাকার পরও এসব টিভি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে দলবেধে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, মিল কারখানায় গিয়ে সংবাদ প্রচার করার ভয়দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। সোর্স হিসেবে কাজ করে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথেও তারা গভীর সখ্যতা গড়ে তুলেছে। এদের কারণে পেশাধারী সাংবাদিকরা পড়ছে বিব্রত অবস্থায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিজমিজি পশ্চিম পাড়া হারুন এর সোনালী, এখলাসের বুশরা,আসাদের সিভিল ম্যাজিক, মতিন সড়কে জাহাঙ্গীরের বসুন্ধরা, ধনহাজী রোড বজলুর হক কয়েল কারখানায় একাধিকবার অভিযান চালিয়ে তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালত চোরাই গ্যাস বিছিন্ন করলেও রাতারাতি আবার সংযোগ দিয়ে নিশ্চিন্তে কারখানা চালাচ্ছে মালিকরা। বার বার অভিযানের পরও গ্যাস চোর কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তিতাস কর্তৃপক্ষ।