সিদ্ধিরগঞ্জ শিমরাইল মোড়ের চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রন নিতে প্রভাবশালী তিন শুকুনের জোট

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ  সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে কু-দৃষ্টি পড়েছে তিন শুকুনের। ফুটপাত ও পরিবহন চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রন নিতে মাঠে নেমেছে শুকনদের সেলারা। মঙ্গলবার (২৯) মার্চ সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহামড়কের দক্ষিণপাশে ফুটপাত উচ্ছেদ করার পর থেকে শুকুনদের সেলারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হুমকি দিচ্ছে তাদের সাথে কথা না বলে যেন কেহ দোকানপাট না বসায়।

চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রনের হাত বদল হলে ব্যবসায়ীদের গুনতে হবে অতিরিক্ত অর্থ। পাশাপাশি চাঁদার পরিমান বৃদ্ধির আতঙ্ক দেখা দিয়েছে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, কিছু দিন ধরে ফুটপাতের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রন নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে নাসিক ১, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী তিন শুকুন। হুমকি ধমকিও দিয়ে আসছে তাদের গুন্ডাপান্ডারা। তাতে সুবিধা করতে না পেরে তিন শুকুন জোট করে শিমরাইল মোড়ের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রন নেওয়ার নীলনকশা করে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ম্যানেজ করে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বুল্ডেজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় দোকানপাট। সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ডিভিশন-১) সাখাওয়াত হোসেন শামীম এর নেতৃত্বে অভিযান চললেও শুকুনদের সেলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানায়, অভিযান শেষ হওয়ার পর থেকেই তিন শুকুনের গুন্ডাপান্ডারা হুমকি দিচ্ছে তাদের সাথে কথা না বলে যেন কেহ আর দোকান না বসায়।

কথা বলা ছাড়া দোকান বসালে পরিনাম খারাপ হবে। তাদের এসব হুমকিতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রন নিতে পরিকল্পিত ভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ডিভিশন-১) সাখাওয়াত হোসেন শামীম বলেন, অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে এসব স্থাপনা গড়ে তুলা হয়েছিল।

কয়েকদফা নোটিশ করার পরও দখলদাররা তাদের স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়া অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে। আবার বেদখল হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন অভিযান চালানো আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তবে নজর রাখা হবে আর যেন কেহ সরকারি জায়গা দখল করতে না পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here